জে মাহাতো, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ৫ সেপ্টেম্বর:
মাওবাদী তৎপরতার খবর পেয়ে জঙ্গলমহল পরিদর্শন করলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র। শনিবার দুপুরের পর তিনি বেলপাহাড়ি এলাকায় যান। এবছর বিক্ষিপ্তভাবে হলেও মাওবাদীদের আনাগোনা বা অস্তিত্বের ইঙ্গিত মিলেছে হুমকি দেওয়া পোস্টার লাগানো এবং গুলি চালানোর ঘটনায়।
গত ১৫ আগস্ট বেলপাহাড়ি ব্লক এলাকার ভুলাভেদা বাজারে স্বাধীনতা দিবসটিকে কালা দিবস হিসেবে পালনের ডাক দিয়ে বেশ কিছু পোস্টার লাগানো হয়। পোস্টারগুলির তলায় সিপিআই মাওবাদী লেখা ছিল। যদিও পোস্টারগুলো ঠিক মাওবাদীরা লাগিয়েছে কি না তা নিয়ে অবশ্য পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। এই ঘটনার পর আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহ নাগাদ বেলপাহাড়ি থানা এলাকার পচাপানি গ্রামে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস কোম্পানির এক ডিলারের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। কে বা কারা এই গুলি চালিয়েছে তা এখনো স্পষ্ট না হলেও বাংলা- ঝাড়খন্ড সীমান্ত এলাকায় ঘুরে বেড়ানো মদন মাহাতোর স্কোয়াডের দিকেই আঙুল তুলেছে পুলিশ।

গত বৃহস্পতিবার বেলপাহাড়ির ভাঙ্গিকুসুম এলাকায় খড়্গপুরের কয়েক জন পর্যটক ঝর্ণা দেখতে গিয়ে মোবাইলে ঝর্ণার দৃশ্য বন্দি করছিলেন। সেই সময় কয়েকজন সশস্ত্র মাওবাদী তাদের ওই এলাকার ছবি না তোলার হুমকি দেয় বলে পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানাগেছে। এই ঘটনার পর গতকাল শুক্রবার বেলপাহাড়ি ব্লকেরই সিঁন্দুরিয়া এলাকায় নির্মীয়মাণ একটি রাস্তার ঠিকাদারকে কাজ বন্ধ রাখার হুমকি দিয়ে পোস্টার লাগানো হয়। সাদা কাগজের উপর লাল কালিতে লেখা এই পোস্টারগুলির নিচেও সিপিআই মাওবাদী লেখা ছিল। পরপর ঘটে যাওয়া এই ঘটনা প্রবাহে জঙ্গলমহলে যেমন নতুন করে আতঙ্কের ছায়া দেখা দিয়েছে তেমনি নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যের গোয়েন্দা বাহিনী এবং পুলিশ প্রশাসন।
বেলপাহাড়ীতে মাওবাদীদের পুনরায় উত্থানের সম্ভাবনার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে তৎপরতা শুরু হয়েছে। শনিবার এজন্য ঢাঙিকুসুমের ঝর্না এলাকাটি পরিদর্শনে যান রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র। এলাকা পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের ডিজি বীরেন্দ্র বলেন, “একটা অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকা পরিদর্শন করেছি। এলডব্লুই এলাকা নিয়ে জেলায় পর্যালোচনা বৈঠক করেছি।”

