সাথী দাস, পুরুলিয়া, ১৪ সেপ্টেম্বর: বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পারেনি। জামিনে মুক্ত বাঁকুড়ার যুবকের মাথার বুলেট বার করল পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।
গত ৫ তারিখ বাঁকুড়া শহরের কেশ্যা হনুমান মন্দিরের সামনে যে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে তাদের মধ্যে আহত ১ জনের খোঁজ পাওয়া গেল পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। আহত যুবকের নাম গোবিন্দ মন্ডল। তাঁর বাড়ি বাঁকুড়া জেলার গঙ্গাজলঘাঁটি থানা এলাকার পাবড়াডি গ্রামে। ঘটনার পর তিনি বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপতালে ভর্তি হন। সেখানে ৪ দিন থাকার পর উপযুক্ত চিকিৎসা না পাওয়ায় ওই অবস্থায় তিনি বাড়ি চলে যান। তারপরে তিনি দুর্গাপুরের ২টি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে গিয়েও আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় ফিরে যান বাড়িতে। তারপরই একজন চিকিৎসকের সাথে তাঁর যোগাযোগ হয়। সেই চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি মঙ্গলবার পুরুলিয়ার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। গতকাল তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। এই যুবক বিপদমুক্ত বলে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।

স্বস্তি মিলেছে ওই পরিবারে। দুশ্চিন্তা মুক্ত আহত যুবকের বাবা অমর মন্ডল বলেন, “বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ চার দিন রেখে জটিল বলে ফিরিয়ে দিয়েছিল। বেসরকারিভাবে করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তাম। দে’ড় লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে বলেছিল দুর্গাপুরের দুটি হাসপাতাল। আর্থিক অসচ্ছলতা প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। সামান্য জমিতে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করি। এখানে নিখরচায় এতবড় অস্ত্রোপচার হবে আগে ভাবতেই পারিনি। কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তারবাবুদের কাছে কৃতজ্ঞ।”
জানা গিয়েছে, একটি পারিবারিক খুনের মামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগে এই যুবক ৪ বছর ধরে বাঁকুড়ার সংশোধনাগারে থাকাকালীন পূর্ব বর্ধমানের গলসির সাদ্দামের সাথে পরিচয় হয় তাঁর। তাঁর মামলার কাজে ঘটনার দিন বাঁকুড়া জেলা আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্যে তিনি যান। সাদ্দামের জামিন পাওয়ার পর সেই গাড়িতেই তিনি উঠে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। বাঁকুড়া শহরের কাছের হ্যেবির মোড়েই নেমে যাওয়ার কথা ছিল বলে জানান যুবক গোবিন্দ।

পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজের শল্য চিকিৎসক পবন মন্ডল জানান, অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। আইন মেনে গুলির অংশ সংরক্ষণ করা হয়। পাশাপাশি পুলিশকে গোটা ঘটনাটি জানানো হয়। বাঁকুড়া জেলার পুলিশ গতকাল বিকেলেই পুরুলিয়ায় এসে বুলেটটি সংরক্ষণ করার জন্য নিয়ে যায়।

