Devdutta Maji, BJP, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত সরকারি কর্মীদের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার দাবি, আদালতে দেবদত্ত মাজি

আমাদের ভারত, ১৩ আগস্ট: ব্যাপক দুর্নীতির কারণে পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের “শিক্ষক নিয়োগ” বাতিল ঘোষণা করেছে শীর্ষ আদালত। ফলে এই দুর্নীতির সাথে যে সমস্ত সরকারি আধিকারিকরা যুক্ত তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার দাবি তুলেছেন সমাজ কর্মী তথা বিজেপি নেতা দেবদত্ত মাজি। এই দাবি নিয়ে তিনি আদালতে জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করছেন। একই সঙ্গে তিনি সচেতন নাগরিক,ব অভিভাবক এবং শিক্ষা আন্দোলনকারীদের এই দাবিতে পথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন।

পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের আওতাধীন শিক্ষক নিয়োগের সম্পূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়া বাতিল ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এই কেলেঙ্কারিতে জড়িতরা সমস্ত বিভাগ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত জবাবদিহিতা এবং ফৌজদারি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী তথা বিজেপি নেতা দেবদত্ত মাজি।

সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, সংবিধানের ১৪ এবং ১৬ অনুচ্ছেদ এক্ষেত্রে সরাসরি লঙ্ঘিত হয়েছে এবং স্পষ্ট অনিয়ম হয়েছে বলে প্রমাণিত, ফলে সমস্ত অবৈধ নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।

কিন্তু এই দুর্নীতির ফল ভোগ করতে হচ্ছে বর্তমান ছাত্র সমাজকে। একথায় এই দুর্নীতির ফলে শিক্ষাঙ্গনে আক্রমণ নেমে এসেছে। তাই এর বিরুদ্ধে বিজেপি নেতা তথা সমাজকর্মী দেবদত্ত মাজি ও তার অনুগামীরা আদালতে একটা জনস্বার্থ মামলা করছেন। সেই মামলায় দুর্নীতিগ্রস্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত সকল সরকারি কর্মকর্তাদের সমস্ত স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি অবিলম্বে বাজেয়াপ্ত করা এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করার দাবি জানানো হয়েছে। এছাড়াও এই দুর্নীতির কারণে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা যাতে ব্যাহত না হয় তার জন্য যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ জরুরি বলেও দাবি করে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।

এই বিষয়ে বিজেপি নেতা তথা সমাজকর্মী দেবদত্ত মাজি বলেছেন, “শিক্ষক দুর্নীতি আমাদের জাতিকে, আমাদের শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যত এবং তরুণ প্রজন্মকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি সুচিন্তিত কৌশল। এই দুর্নীতির প্রভাব অনেক গভীরে। আমাদেরকে যা বোঝানো হয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি।”

দেবদত্তবাবুর মতে, এই দুর্নীতিমূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অপরাধীরা আমাদের সমাজের এবং জাতির মেরুদণ্ডে আঘাত হেনেছেন, কারণ শিক্ষা একটি সভ্য এবং কার্যকর সমাজের ভিত্তি। শুধুমাত্র যোগ্য শিক্ষক এবং তাদের পরিবারিই নয়, পুরো সমাজ এবং দেশ এই দুর্নীতির কারণে ভোগান্তিতে পড়বে।”

অন্যদিকে রাজনৈতিক এবং সরকারি কর্মচারী, যারা এই দুর্নীতির সাথে যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং তাঁদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা অত্যাবশ্যক বলে মনে করেন তিনি।

দেবদত্তবাবু আবেদন জানিয়েছেন, যাদের হাতে ক্ষমতার রাশ রয়েছে তাঁরা যেন তাদের কর্তব্য পালন করেন। এই দুর্নীতির কারণে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অসংখ্য মানুষের প্রতি ন্যায় নিশ্চিত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *