অশোক সেনগুপ্ত, আমাদের ভারত, ১৩ ডিসেম্বর: হাইকোর্ট নির্দেশ দিলেও বাবা সাহেব আম্বেদকর এডুকেশন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় অশান্তি কমার লক্ষণ নেই। চরম বিঘ্নিত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম।
“আইনত ছাত্র ভর্তি কোনো বাধা নয়, তা সত্বেও কেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় লিঙ্ক কলেজগুলোতে দিচ্ছেন না?” এই দাবিতে বুধবার সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। বেলা ২টো থেকে শুরু হয় তাদের অবস্থান বিক্ষোভ।
বাবা সাহেব আম্বেদকর এডুকেশনাল ইউনিভার্সিটিতে অচলাবস্থা নিয়ে সোমবারই ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে আন্দোলনের অনুমতি কী করে দেওয়া হল, তা নিয়ে পুলিশের কাছে প্রশ্ন ছিল আদালতের। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এই নিয়ে পুলিশকে রিপোর্ট দিতে হবে বলে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ওই ধরণা থেকে যাতে কোনও প্ররোচনামূলক মন্তব্য, অশান্তির চেষ্টা না হয় সেটা পুলিশকে নিশ্চিত করতে হবে।
কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, আদালতের নির্দেশকে যথেষ্ঠরকম মান্যতা দিচ্ছেন না আন্দোলনকারীরা। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের কাছে জমায়েত করে বিভিন্ন শ্লোগান দেওয়ার সময় পুলিশ বাধা দেয়। সেই সময়
আন্দোলনকারীদের তরফে এক বিতর্কিত নেতা পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে চিৎকার করে তর্ক করেন।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ৬২৪টির মধ্যে ২৫৩টি বিএড কলেজ শর্ত না মানায় এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পায়নি। অনুমোদন না পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন শুরু করে এডুকেশন টিচার্স ফোরামের সদস্যরা। যার জেরে পঠনপাঠন বন্ধ। বিষয়টি নিয়ে অধ্যক্ষ রাজ্য সরকার ও পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। কিন্তু আন্দোলনের জেরে সেই পরীক্ষা এখন অনিশ্চিত। পুলিশ কোনও অভিযোগ নিচ্ছে না বলে দাবি।

