আমাদের ভারত, ১২ জুন: আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় যখন চারিদিকে কেবল হাহাকার আর মৃত্যু মিছিল, তখন জানা গেল এক যাত্রীর জীবিত থাকার খবর। অলৌকিক হলেও এটাই সত্যি। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে পুলিশের তরফে এই খবর জানানো হয়েছে।
রাখে হরি মারে কে, সম্ভবত এই প্রবাদই সত্যি হয়ে গেল বছর ৩৮-এর রমেশ বিশ্ব কুমারের জন্য। বিধ্বস্ত বিমানের সিট নম্বর ১১ এ-তে বসা ওই যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আমেদাবাদের পুলিশ কমিশনার জিএস মালিক সংবাদ সংস্থা এনআইকে জানিয়েছেন, সিট ১১ এ তে বসা এক যাত্রীকে জীবিত পাওয়া গিয়েছে। তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার বুকে মাথায় আঘাত লাগলেও তিনি বেঁচে আছেন। দিউ থেকে তিনি এসেছিলেন। লন্ডনে যাচ্ছিল। তার সঙ্গে তার দাদাও ছিলেন। রমেশ নিজে উদ্ধার হবার পর বার বার দাদাকে খোঁজার চেষ্টা করেছেন। যদিও তার খোঁজ মেলেনি।
এই খবরের পর কতজনের মৃত্যু হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে অনুমান, যেহেতু বিমানটি লোকালয়ের মধ্যে ভেঙ্গে পড়েছে। বিমানটি বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে আমেদাবাদ থেকে বিমানটি উড়ে ব্রিটেনের গেট বিমানবন্দরে নামার কথা ছিল, কিন্তু ওড়ার মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই গুজরাটের মেঘানি নগর এলাকায় ভেঙ্গে পড়ে বিমানটি। যে বহুতলে ভেঙ্গে পড়েছে সেটি একটি মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক পড়ুয়াদের হোস্টেল। সেখানে প্রায় ৫০ জন চিকিৎসক থাকেন বলে শোনা যাচ্ছে। বিমান ভেঙ্গে পড়ার সময় হোস্টেলে সাতজন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।