তৃণমূলে যোগ দিলেও রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে মানতে নারাজ দলের স্থানীয় নেতারা

স্বরূপ দত্ত, আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ১৪ জুন: রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হিসেবে মান্যতা দিতে রাজি নন রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি। ১৮ দিন পর তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের হস্তক্ষেপে মঙ্গলবার পঞ্চায়েত সমিতির অফিস খুললেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা। পঞ্চায়েত সমিতির কাজকর্ম চালু হলেও বিধায়ককে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি। বিধায়ককে বাদ দিয়েই পঞ্চায়েত সমিতির সমস্ত কাজকর্ম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা।

গত ২৭ মে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী এবং হেমতাবাদের বিধায়ক তথা রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সত্যজিৎ বর্মনের বিরোধে রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি দপ্তর অনিদিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করা দেওয়া হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল সমস্যা সমাধানের জন্য আন্দোলনকারী পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের নিয়ে দু’ দুবার বৈঠক করেন। বৈঠকে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা। মঙ্গলবার রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির দপ্তরে আন্দোলনকারী সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল, রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অসীম ঘোষ, উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি কবিতা বর্মন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন। সাধারণ মানুষের স্বার্থে পঞ্চায়েত সমিতির কাজকর্ম স্বাভাবিক রাখার নির্দেশ দেন জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। জেলা সভাপতির নির্দেশের পরই পঞ্চায়েত সমিতির তালা খুলে দেওয়া হয়। শুরু হয় স্বাভাবিক কাজকর্ম। দ্রুত রায়গঞ্জ মহকুমার তিন বিধায়ককে নিয়ে তিনি বৈঠক করে সমস্যা মিটিয়ে ফেলবেন।

রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তথা তৃণমূল রায়গঞ্জ ব্লক সভাপতি মানস ঘোষের অভিযোগ, রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী পঞ্চায়েত সমিতির কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারেন না। তিনি এখনও বিজেপি বিধায়ক হিসেবেই নিজেকে প্রমান করছেন। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেও তাকে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হিসেবে মানতে রাজি নন। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের উপস্থিতিতেই বিধায়ককে পঞ্চায়েত সমিতির সমস্ত কর্মকান্ডে বয়কট করার কথা ঘোষণা করেন। পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি মানস ঘোষের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেন বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। মানসবাবুকে তিনি দুর্নীতিগ্রস্থ বলে অভিযোগ করেছেন। এই দুর্নীতির কারণেই মানসবাবু তার নিজের এলাকায় ঢুকতে পারেন না বলে বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর অভিযোগ।

অন্যদিকে সরকারি কাজের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝামেলা চলছে বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *