চাকতেঁতুলে ২৮ জন টাকা পেয়েও দুবছর ধরে আবাস-যোজনার বাড়ি শুরু করেনি বলে অভিযোগ, আইনী পদক্ষেপের হুঁশিয়ারী পঞ্চায়েতের

জয় লাহা, দুর্গাপুর, ৭ জুলাই: কারও ভাঙ্গা বাড়িতে ঝু্ঁকি নিয়ে বসবাস করলেও সরকারি বাড়ি জোটে না। আবার কেউ সরকারি বাড়ির সহায়তা পেয়েও দুবছর ধরে বাড়িই শুরু করেনি। আর তাতে ওপরমহলে জবাবদিহি আর উপভোক্তাদের নোটিশ করতে গিয়ে কার্যত কালঘাম ছুটছে পঞ্চায়েতের। শেষমেষ আইনানুগ ব্যাবস্থার চরম হুঁশিয়ারি দিল প্রশাসন। ২৮ জন উপভোক্তা প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েও দুবছর ধরে বাড়িই শুরু করেনি। এরকমই  নজিরবিহীন ঘটনাটি ঘটেছে গলসী-১ নং ব্লকের চাকতেঁতুল পঞ্চায়েতে এলাকায়। 

  ঘটনায় জানা গেছে, গলসী-১ নং ব্লকের চাকতেঁতুল পঞ্চায়েতে গত ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৫৩৩ জনের আবাস যোজনার বাড়ি তৈরী নাম অনুমোদন হয়। সেই মত প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা উপভোক্তারা পেয়েছেন। চাকতেঁতুল পঞ্চায়েত সুত্রে জানা গেছে, ৫৩৩ জনের মধ্যে ৫০৫ জন বাড়ি শুরু করেছে এবং দ্বীতিয় কিস্তির টাকাও পেয়েছে। কিন্তু প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে ২৮ জন উপভোক্তা এখন বাড়ি নির্মান শুরুই করেনি।

আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে। কেন বাড়ি শুরু করল না? কেন দুবছর ধরে উপভোক্তাদের বাড়ি নির্মান শেষ হল না? জানা গেছে, আবাস যোজনায় সব মিলিয়ে প্রায় ১ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা সহায়তা পায় উপভোক্তারা। কমপক্ষে ২৭২ বর্গফুট বাড়ি নির্মান করতে হয়। কিন্তু, মুল্যবৃদ্ধির বাজারে ওই টাকায় সেরকম মজবুত বাড়ি হয় না বলে অভিযোগ। পছন্দের বাড়ি তৈরী করতে গিয়ে অনেকে নিজের পকেট থেকে বিনিয়োগ করে একটু ভালো মানের বাড়ি করতে যায়। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। মনের মত বাড়ি নির্মান শুরু করলেও, আর্থিক টানাপোড়েনে শেষ করতে পারে না। আর তাতেই বিপাকে পড়ে উপভোক্তারা।

চাকতেঁতুল পঞ্চায়েত প্রধান অশোক ভট্টাচার্য্য জানান, “এভাবে উপভোক্তারা আবাস যোজনার বাড়ি শুরু না করায় পঞ্চায়েতের গরিমা নষ্ট হচ্ছে। সুনাম নষ্ট হচ্ছে। জেলাতে জবাবদিহি দিতে হচ্ছে। তিনবার উপভোক্তদের নোটিশ দিয়েছি। তারপরও ২০১৯-২০ অর্থবছরের ২৮ টি উপভোক্তা পরিবার বাড়ি শুরু করেনি। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে কয়েকদিন আগে মাইকিং করে চরম সতর্ক করেছি। আগামী ৯ জুলাইয়ের মধ্যে অভিযুক্ত উপভোক্তারা বাড়ি নির্মান শুরু না করলে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *