আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১৮ জুন:
করোনা পরিস্থিতিতে গভীর সংকটে পড়েছেন বসিরহাট ২নং ব্লকের মাটিয়ার যৌন কর্মীরা। প্রায় রোজগার ছাড়াই দিন কাটছে তাদের। করোনা টিকা ও ত্রাণ পেলেও অর্থ সংকটে তাঁদের জীবন-জীবিকা। ফলে সঙ্কটে তাদের পরিবারও।
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট ২নং ব্লকের মাটিয়া যৌনপল্লীতে প্রায় ১৫০০ জন যৌনকর্মী রয়েছে। রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম যৌনপল্লী হিসেবে মাটিয়াকে গন্য করা হয়। কিন্তু করোনা আবহে লকডাউনের দ্বিতীয় ঢেউয়ে গভীর সঙ্কটে যৌনকর্মীরা। যান চলাচল বন্ধ থাকায় খদ্দেরের অভাবে তাদের রোজগার প্রায় প্রায় বন্ধ হতে বসেছে। যার জেরে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে যৌনকর্মীদের মাটিয়া থানা ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফ থেকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু টাকা রোজগার না হওয়ায় সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে।
বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার পক্ষ থেকে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে যৌনকর্মীদের কোভিশিল্ড টিকার ব্যবস্থা করা হয়।
আরও পড়ুন ধর্মীয় পরিচিতির ভিত্তিতে উচ্চমাধ্যমিক ফল, কড়া সমালোচনা নেটানাগরিকদের
একদিকে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা অন্যদিকে ভ্যাক্সিন দিয়ে তাদের সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে রেখে দিতে বদ্ধপরিকর প্রশাসন। কিন্তু এটাই যথেষ্ট নয় বলে জানাচ্ছেন যৌনকর্মীরা। ইতিমধ্যে লকডাউনের জেরে কর্মজীবন ছেড়ে অনেককেই অন্য পেশায় চলে যেতে হয়েছে। পাশাপাশি পেশাগত ভাবে তারা অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। যার ফলে একদিকে তাদের জীবন-জীবিকা অন্যদিকে মূল পেশায় থাকতে লড়াই। সবমিলিয়ে ঘোর সংকটে যৌনকর্মীরা।