কাঁচরাপাড়া হার্ণেট হাই স্কুলে গাছ বিতরণ করলো ‘দেশের মাটি কল্যাণ মন্দির’

আমাদের ভারত, নদিয়া, ২৪ ফেব্রুয়ারি: গাছ আমাদের বন্ধু। গাছ না থাকলে আমরা কেউ বাঁচতে পারবো না। কিন্তু মানুষ সে সব জানা সত্ত্বেও প্রতিনিয়ত বৃক্ষ ছেদন করে চলেছে। বাতাসে প্রতিনিয়ত কার্বোন-ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ছে, যার ফলে বিশ্ব উষ্ণায়ন হচ্ছে। প্রতি বছর ঘূর্ণি ঝড় ও নানান প্রতিকূলতার সম্মুখীনের প্রভাবে এর ফলাফল কতটা ভয়ানক হতে পারে তা মানুষ ধীরে ধীরে উপলব্ধি করতে পারছে।

সেইজন্য ভবিষ্যতকে যাতে সুন্দর করে গড়ে তোলা যায় ও বর্তমান প্রজন্মের শিশুদের সচেতন করার জন্য এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের গাছ লাগাতে উৎসাহিত করার জন্য ‘দেশের মাটি কল্যাণ মন্দির’-এর পক্ষ থেকে আজ কাঁচরাপাড়া হার্ণেট হাই স্কুলে বিভিন্ন প্রকারের ‘ইন্ডোর প্ল্যান্ট’ তুলে দেওয়া হল শিক্ষার্থী, শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের হাতে।

ডিফেন বেকিয়া, মনেস্ট্রেরা, অ্যালোভেরা, ট্র‍্যাডেস্ক্যানসিয়া, এগ্লোনিমা, রিও ডি জেনেরোসা, বিগ্নোনিয়া, ক্লোরোফাইটাম, সিংগোনিয়াম প্রভৃতি গাছ সম্পর্কে বুঝিয়ে দেন বিদ্যালয়ের বোটানির শিক্ষক শ্রী মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল।

এদিন ১০০ জনের বেশি শিক্ষার্থীদের হাতে ‘দেশের মাটি কল্যাণ মন্দির’ -এর পক্ষ থেকে গাছ তুলে দেন শ্রী মিলন খামারিয়া। এছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষিক শিক্ষিকারাও বিভিন্ন প্রকারের ‘ইন্ডোর প্ল্যান্ট’ সংগ্রহ করেছেন তার কাছ থেকে। গাছ পেয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক শিক্ষিকারা ভীষণভাবে আনন্দিত।

আজকের গাছ বিতরণ কর্মসূচি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক অনুপ কুমার দাস জানান যে, “বিদ্যালয়ের পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির ১০০ -র বেশি শিক্ষার্থীদের হাতে ‘দেশের মাটি কল্যাণ মন্দির’-এর পক্ষ থেকে আজ গাছ তুলে দেওয়া হয়েছে। এই গাছ গুলোর অনেক ঔষধি গুণ আছে। গোবর, গোমূত্র, হাড়ের গুঁড়ো, ভার্মি কম্পোস্ট প্রভৃতি জৈব সারের মাধ্যমে গাছগুলো পুষ্টি পাক। পাশাপাশি জৈব পদ্ধতিতে চাষে মানুষকে উৎসাহিত করুক ‘দেশের মাটি কল্যাণ মন্দির’। খাদ্যশস্যকে বিষ মুক্ত করে উৎপাদন করতে উৎসাহিত করুন, উৎপাদকদের এটাই তাদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা।”

এদিনের ইন্ডোর প্ল্যান্ট বিতরণ করার কারণ জানতে চাওয়া হলে ‘দেশের মাটি কল্যাণ মন্দির’-এর কার্যকর্তা মিলন খামারিয়া জানান যে, “শিক্ষার্থীদের মধ্যে গাছ সম্পর্কে সচেতনতা আনতে ও গাছের গুরুত্ব উপলব্ধি করাতেই আজকের এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।শিক্ষার্থীরাই দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। তাই তারা সচেতন হলে অপ্রয়োজনীয়ভাবে গাছ কাটা যেমন বন্ধ হবে তেমন পরিবেশও রক্ষা পাবে।” এই ভাবেই সকল ছাত্র- ছাত্রীকে বৃক্ষ-রোপণের মাধ্যমে পরিবেশ সচেতন করলো ‘দেশের মাটি কল্যাণ মন্দির’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *