আমাদের ভারত, শিলিগুড়ি, ৪ মার্চ: শিলিগুড়ি পৌরনিগমের ডেপুটি মেয়র ও মেয়র পারিষদরা শপথ নিলেন শুক্রবার। পাশাপাশি এদিন করা হয় বিভাগ বন্টন। এদিন পৌরনিগমের নবনির্বাচিত ডেপুটি মেয়র এবং অন্যান্য মেয়র পরিষদের সদস্যরা সেবা ও গোপনীয়তার শপথ নেন। কিছু সময় পর তাদের বিভাগও বরাদ্দ করা হয়।
নবনির্বাচিত ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার, মেয়র পরিষদ সদস্য রামভজন মাহতো, দুলাল দত্ত, কমল আগরওয়াল, মানিক দে, দিলীপ বর্মণ, শোভা সুব্বা, রাজেশ প্রসাদ (মুন্না), সিক্তা দে বসু রায় এবং শ্রাবণী দত্তও শপথ নেন। তাদের সবাইকে শপথবাক্য পাঠ করান মেয়র গৌতম দেব। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ি পৌরনিগমের কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া, মেয়র গৌতম দেব, চেয়ারম্যান প্রতুল চক্রবর্তী সহ অন্যান্য ওয়ার্ড কাউন্সিলররা।
এদিন, নতুন মেয়র পরিষদের সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পরই মেয়র গৌতম দেবও তাদের বিভাগ বরাদ্দ করেন। ইতিমধ্যে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। পৌরনিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়র গৌতম দেব সাধারণ প্রশাসন, পূর্ত বিভাগ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি, হাউজিং, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন, অর্থ ও হিসাব এবং অন্যান্য বিভাগ নিজের হাতে রেখেছেন। ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার বস্তি উন্নয়ন, ন্যাশনাল আরবান লিভলিহুড মিশন (NULM), নগর কর্মসংস্থান, পরিবহন, সংখ্যালঘু কল্যাণ দপ্তরের দায়িত্ব পেয়েছেন।
মেয়র পরিষদের সদস্য রামভজন মাহাতো সম্পত্তি কর, মূল্যায়ন, বাজার, দুলাল দত্ত জল সরবরাহ, স্বাস্থ্য, জাতীয় নগর স্বাস্থ্য মিশন, কমল আগরওয়াল বিদ্যুৎ, আইন, আইটি সেল, মানিক দে কনজারভেনসি, বায়ো-মাইনিং, যানবাহন, দিলীপ বর্মণ হাউজিং ফর অল, ট্রেড লাইসেন্স, ক্রীড়া, শোভা সুব্বাকে শিক্ষা ও সংস্কৃতি, রাজেশ প্রসাদকে পার্কিং, গেস্ট হাউস, বিজ্ঞাপন, সিক্ত দে বসু রায়কে বৃক্ষরোপণ ও সৌন্দর্যায়ন, পরিবেশ, উদ্যান ও পালন বিভাগ এবং শ্রাবণী দত্তকে শিশু-মা কল্যাণ বিভাগ, মিড-ডে মিল, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গত পুর বোর্ডের তুলনায় এবারের পুর বোর্ডে দুজন অতিরিক্ত মেয়র পারিষদ নিয়োগ করা হয়েছে।
গৌতম দেব বলেন, “সংযোজিত ওয়ার্ডগুলিতে প্রাধান্য দেওয়া হবে। বিভাগ বন্টন করা হয়েছে। বিধানসভার তূলনায় পুর নির্বাচনে আমরা সংযোজিত ওয়ার্ডগুলিতে দারুন ফল করেছি। তবে গোটা শহরেরই পরিষেবা উন্নত করা হবে।”
দায়িত্ব গ্রহণের পরই উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয় রঞ্জন সরকারকে। তিনি বলেন, “সবাই মিলে একটা দল হিসেবে আমরা কাজ করবো। বাম, কংগ্রেস, বিজেপি প্রত্যাশাপূরণ করেনি। কিন্তু আমরা শহরকে তিলোত্তমা করতে বদ্ধ পরিকর।”