আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ২৪ জুন: জলপাইগুড়ি পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতি বঞ্চনা ও অবহেলা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন স্থানীয় বিরোধী কাউন্সিলর অম্লান মুন্সি। পুরসভার দুর্নীতি, পুর প্রধানের অকর্মন্যতার প্রতিবাদে অবিলম্বে পুর প্রধানের পদত্যাগের দাবিতে সোমবার অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন অম্লান সহ তাঁর অনুগামীরা। ২৪-২৮ জুন পর্যন্ত কদমতলা মোড়ে মঞ্চ করে অবস্থান বিক্ষোভ চলবে বলে জানালেন টাউন ব্লক কংগ্রেস সভাপতি তথা স্থানীয় কাউন্সিলর অম্লান মুন্সি।
অভিযোগ, পুরভোটের আগে একাধিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শহরের রাস্তাঘাট বেহাল, রবীন্দ্রভবনের সামনে নতুন করলা সেতু আজও চালু হল না, হকার্স কণার হয়নি, পার্কিং জোন হয়নি। উলটে পুরসভার সিন্ডিকেট রাজ চলছে। আম্রুত প্রকল্পের জলের পাইপ লাইন বসানোর জেরে একাধিক রাস্তায় গর্ত করা হয়েছিল। সেই রাস্তা সংস্কারের জন্য এক কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা টেন্ডার হয়েছে। ঠিকাদার টাকা পেয়েছে, কিন্তু রাস্তা সংস্কার হয়নি। সেই টাকা কোথায় গেল এটা সকলে বুঝতে পারছেন। অম্লান মুন্সি বলেন, “পুরসভার দুর্নীতি নিয়ে গঠন মূলক সমালোচনা যদি কেউ করে তাহলে অম্লান মুন্সি। এই কারণে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের উন্নয়নের কাজকে থমকে দিয়েছেন পুরপ্রধান। এই পরিস্থিতিতে আমার কষ্ট বন্ধ করা যাবে না। এই কারণে পুরসভার পুরপ্রধানের পদত্যাগ চেয়ে এদিন থেকে ছয় দিন অবস্থান বিক্ষোভ চলবে। তারপরেও কাজ না হলে কলকাতার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভে বসবো পুরপ্রধানের পদত্যাগ চেয়ে। জেলা শাসককে দুর্নীতির তদন্ত করার দাবি জানিয়েছি। আমাদের সকলের মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ, তিনি যেন পুরসভার দুর্নীতি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন। শুধু তাই নয়, আমি নিজেই দুর্নীতির প্রমাণ দেব। যদি না দিতে পারি কাউন্সিলরের পদ থেকে পদত্যাগ দেব এই ঘোষণা করেছি।” এদিকে পুরসভার পুরপ্রধান পাপিয়া পালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
তৃণমূল টাউন ব্লক সভাপতি তথা ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজনীতি করতে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অবস্থান করছে। তাঁর অভিযোগ থাকতেই পারে। সেগুলো পুরসভার প্রতি মাসের সভায় তিনি তুলে ধরতে পারেন। কিন্তু সেখানে তিনি বলার সাহস পান না। তবে শাসক দলের কাউন্সিলরদের অভিযোগ রয়েছে সেগুলো সভায় তুলে ধরা হয়ে থাকে।