আমাদের ভারত, নদীয়া, ২৪ সেপ্টেম্বর: সমস্ত আমানতকারীদের টাকা ফেরতের দাবিতে এবং তাদের এজেন্টদের সুরক্ষার দাবিতে বুধবার চিটফান্ড সাফারার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন বিক্ষোভ প্রদর্শন করল নদীয়া জেলা শাসকের অফিসের সামনে।
তাদের অভিযোগ সুপ্রিম কোর্টের একশোটা এবং হাইকোর্টের বাহান্নটা রায় থাকা সত্ত্বেও মানুষ কেন টাকা পাচ্ছেন না। এছাড়াও বিধানসভায় ২০১৯ সালের জুন মাসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ঘোষণা করেছিলেন শ্যামল সেন কমিশনে ৩০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। তার বাকি টাকাটা পড়ে আছে। পাশাপাশি বিড়ি-সিগারেটের উপর ১০% কর চলছে। আবার সেই টাকার পাশাপাশি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ফেরত দেওয়া যে টাকা সে টাকাও জমতে জমতে পাহাড় পরিমাণ টাকা হয়েছে। কোর্টের রায় থাকা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষ টাকা পাচ্ছেন না।
চিটফান্ড সাফারার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদক তথা রাজ্য কমিটির সভাপতি ইব্রাহিম বিশ্বাস জানান, এজেন্টের সুরক্ষার প্রশ্নে আমরা দেখছি জেলার বিভিন্ন জায়গায় তাদের উপর হামলা হচ্ছে। কৃষ্ণগঞ্জে একজন এজেন্ট বাড়ি থাকতে পারছেন না। লকডাউন এর আগে থেকে বাড়ি ছাড়া। তাহেরপুরে গাড়ি কেড়ে নিয়েছে এক এজেন্টের, এক বছর হয়ে গেল কোনো সুরাহা হয়নি।রানাঘাটে থানা থেকে এজেন্টকে ফোন করে বলা হচ্ছে আমানতকারীদের টাকা দিয়ে মিটিয়ে দাও। তেহট্টে একজন এজেন্টের সংসার চলে না অসুস্থ, তাকে প্রশাসন বলছে তুমি জমি বিক্রি করে টাকা দাও। এরকম অজস্র ঘটনা জেলা ও রাজ্যজুড়ে ঘটছে। অথচ ২০১৮ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় তৎকালীন ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থর মাধ্যমে প্রত্যেক জেলার এসপির কাছে মেইল পাঠিয়ে ছিলেন এজেন্ট সুরক্ষার ব্যাপারটা যেন দেখা হয়। তা সত্ত্বেও এরাজ্যে এরকম পরিস্থিতি চলছে। রাজ্যের এজেন্টরা সারদাকাণ্ডের পরে কর্মহীন হওয়ায় প্রায় বেশির ভাগই পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। এখন তারা কাজ হারিয়ে দেশে ফিরে এসেছে। বাড়িতে তাদের উপর অত্যাচার চলছে।