আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ৪ এপ্রিল: উজ্জ্বলা প্রকল্পের উজালায় বালুরঘাটে শিকেয় উঠেছে করোনার লকডাউন। আধার লিঙ্ক খতিয়ে দেখতে কয়েকশো মানুষের সমাগম পাওয়ার হাউজে। শনিবার সকাল থেকে এলাকায় এমন জনসমাগমের প্রতিবাদ জানিয়ে গ্যাস বিতরণ কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের। গ্যাস বিতরণ কেন্দ্র অন্যত্র সরানোর দাবী স্থানীয়দের।
জানা যায়, শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পাওয়ার হাউজ এলাকার ওই গ্যাস বিতরণ কেন্দ্রে বালুরঘাট মহকুমার প্রায় ২২ হাজার উজ্জ্বলা যোজনার সংযোগ রয়েছে। লকডাউন নিয়ে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে ওই প্রকল্পের অন্তর্গত গ্রাহকদের তিনটি গ্যাস বিনামূল্যে দেবার কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। যে খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রাহকরা নিজেদের আধার লিঙ্ক ব্যাঙ্কের বইয়ের সাথে ঠিক আছে কিনা, মোবাইল নম্বর আপডেট রয়েছে কিনা এমন সব বিষয় নিশ্চিত করতে আজ সকাল থেকেই ওই গ্যাস অফিসে ভিড় জমায় শয়ে শয়ে মানুষ। যার জেরে একপ্রকার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে এলাকা। যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়ায় উত্তেজিত হয়ে ওঠে বাসিন্দারা। লকডাউনকে অমান্য করে কেন এলাকায় এত মানুষের সমাগম সেই প্রশ্ন তুলে গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতেই ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌছতেই বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে বালুরঘাট থানার পুলিশও। যদিও পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে গ্রাহকদের লাইন ঠিক করে গ্যাসের বই বিলি করেন পুলিশ কর্মীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা দীপঙ্কর অধিকারী ও সঞ্জীব কুমার মহন্তরা জানিয়েছেন, লকডাউন অমান্য করে এমন ভিড় করা একেবারেই ঠিক হচ্ছে না। যাতায়াতের রাস্তাও বন্ধ হয়ে এক চরম বিশৃঙ্খলা হয়েছে এলাকায়। এই বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হওয়া উচিত বলে তাঁরা মনে করেন।
গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটর কেন্দ্রের তরফে সন্তোষ চৌধুরী জানিয়েছেন, কেন্দ্রের ঘোষণা অনুযায়ী উজ্জ্বলা যোজনার অন্তর্ভুক্ত উপভোক্তারা বিনামূল্যে গ্যাস পাবেন। সেই কারণেই নিজ নিজ আধার লিঙ্ক, মোবাইল নম্বর আপডেট রয়েছে কিনা তা দেখতে বলা হয়েছিল। তবে বাসিন্দারা একসাথেই চলে আসায় বিপত্তি হয়েছে। আগামী তিন চার মাস ধরেই এই কাজ করা যাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।