Modi, BJP, Congress, সংসদে বিক্ষোভ! সংবিধানের প্রতি ভালোবাসা দেখানোর কোনো অধিকার নেই কংগ্রেসের, জরুরি অবস্থার কথা স্মরণ করিয়ে পাল্টা মোদীর

আমাদের ভারত, ২৫ জুন: কংগ্রেসকে জরুরি অবস্থা নিয়ে কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার ছিল জরুরি অবস্থার ৫০ তম বর্ষপূর্তি। অষ্টাদশ লোকসভার দ্বিতীয় দিনের অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একাধিক টুইট করে জরুরি অবস্থার কালো দিনের কথা মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে কংগ্রেসকে পাল্টা দিয়ে তিনি লেখেন, যারা জরুরি অবস্থা জারি করেছিল তাদের সংবিধানের প্রতি ভালোবাসা দেখানোর কোনো অধিকার নেই।

সোমবার অধিবেশনের প্রথম দিনই সংসদ চত্বরে হাতে সংবিধান নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বিরোধী জোট ইন্ডিয়া। মোদী যখন সংসদের ভিতর শপথ বাক্য পাঠ করতে ওঠেন তখন বেঞ্চে বসে মোদীর উদ্দেশ্যে সংবিধান দেখান রাহুল গান্ধী। পরে সংসদ থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, মোদী এবং বিজেপি সংবিধানকেই শেষ করতে চান। আমাদের সেই সংবিধানকে রক্ষা করার লড়াই করতে হচ্ছে।

কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্যের পাল্টা দেন মোদী। ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর আমলে দেশের জরুরি অবস্থা জারি হয়। সাময়িকভাবে সমস্ত নাগরিক অধিকার তুলে নেওয়া হয়। বিরোধী দলনেতাদের জেল বন্দি করা হয়। সংবাদমাধ্যমের উপরের নজরদারি চালানো হয়। টানা ২১ মাস এই পরিস্থিতি চলেছিল ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত।

এরপর ১৯৭৭ সালের লোকসভা নির্বাচনে ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস শোচনীয় ভাবে পরাজিত হয়। মঙ্গলবার সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে মোদী লেখেন, জরুরি অবস্থার কালো দিন আমাদের মনে করিয়ে দেয়, কিভাবে কংগ্রেস মৌলিক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল এবং ভারতের স্বাধীনতা সংবিধানকে পদদলিত করেছিল। ক্ষমতায় টিকে থাকতে কংগ্রেস সরকার সেই সমস্ত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে অস্বীকার করেছিল বলে তোপ দেগেছেন মোদী।

এর আগে সোমবারেও সাংসদ হিসেবে শপথ গ্রহণের আগে জরুরি অবস্থা তুলে কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন মোদী। বলেছিলেন, ৫০ বছর আগে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল সেটা দেশের অন্ধকার অধ্যায়। গণতন্ত্রের জন্য কালো দাগ। তাঁর দাবি, আর কখনো সেই আঁধার দেশে নেমে আসবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *