আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ২ জুন: একদিকে তীব্র গরম আর তার পাশাপাশি কয়েকদিন ধরে পানিহাটিতে জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই তীব্র জল কষ্টে পানিহাটির মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে।
পানিহাটির ১০ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত জয়প্রকাশ কলোনির বাসিন্দারা বৃহস্পতিবার সকালে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বাড়ি যান এবং জলের ব্যবস্থা করার আবেদন জানান। অভিযোগ, সেই সময় কাউন্সিলর প্রবীর মজুমদার ও তার স্ত্রী এলাকার বাসিন্দাদের ভীষণ খারাপ খারাপ কথা বলেন ও অপমান করে তাড়িয়ে দেন। জয়প্রকাশ কলোনির বাসিন্দাদের দাবি, এই অঞ্চলে প্রায় ২২০০ মানুষের বাস। আর দীর্ঘ ২ মাসের বেশি সময় ধরে এই জলের সমস্যায় ভুগছেন তারা। স্নান করার থেকে খাওয়ার জল কোনোটাই সময় মত মিলছে না, যেটুকু আসছে সেটা না আসার মত। তাই তারা কাউন্সিলরের কাছে জলের দাবি জানাতে গেলে তাদের উল্টে বস্তির মানুষ বলে অপমান করে তাড়িয়ে দেন কাউন্সিলর ও তার স্ত্রী। এমনটাই অভিযোগ করেছেন জয়প্রকাশ কলোনির বাসিন্দারা। এমন কি এই জল কষ্ট থেকে নিস্তার পেতে পৌর সভার জলের গাড়ি পাঠানোর কথা বলা হলেও সেটার ব্যবস্থা কাউন্সিলর প্রবীর মজুমদার করেননি বলে দাবি এলাকাবাসীদের। এতেই যেন আগুনে ঘি পড়ে। এরপরই ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে ঘিরে তারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
তবে পরবর্তীতে পৌর সভায় এই গন্ডগোলের খবর গেলে পৌরসভার তরফ থেকে জয়প্রকাশ কলোনিতে একটা পানীয় জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো হয়। কিন্তু একটা ট্যাঙ্কে এত মানুষের জলের সমস্যা মেটানো সম্ভব না বলেই এলাকাবাসীদের বক্তব্য।

এই পানিহাটি পৌর এলাকার তীব্র জল কষ্ট সম্পর্কে পৌর প্রধান মলয় রায় বলেন, “পৌরসভা এবং কেএমডিএ’র তরফ থেকে খুব দ্রুত গতিতে এই জল সঙ্কট মেটানোর জন্য কাজ করা হচ্ছে। মাটির নিচে কোনো সমস্যা আছে সেটা এখনো খুঁজে বার করা সম্ভব হয়নি। তবে আমরা সবাই চেষ্টা করছি এই জল কষ্টের সমাধান করার।”
এই তীব্র দাবদাহে পানিহাটির বাসিন্দাদের যে জলের কষ্টে ভুগতে হচ্ছে সেই সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য আজ সকালে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে পানিহাটি পৌরসভা সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করা হয়। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, পানিহাটি পৌরসভার প্রাক্তন পৌরপ্রধান সিপিআইএম নেতা চারণ চক্রবর্তী, পানিহাটি বামফ্রন্টের আহ্বায়ক দুলাল চক্রবর্তী সিপিআইএম নেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

