আমাদের ভারত, ২৭ মে: রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে আইন মেনে সংরক্ষণের নীতি প্রকাশ করে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আহ্বানে আইন ও সংবিধানে সংরক্ষণের সুযোগ রেখে দ্রুত ভর্তি প্রক্রিয়া চালুর দাবিতে একটি সভা হয়। সেখানে এই দাবি ওঠে।
সভায় দাবি ওঠে, এখন যে সংরক্ষণের আইনি অধিকার আছে তা মেনেই অন্তর্বতীকালীন ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হোক এবং সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন থাকার জন্য পুরনো ব্যবস্থায় যে সিট সংরক্ষিত ছিল তা ফাঁকা রাখা হোক, যাতে কোর্ট সরকারের পক্ষে রায় দিলে তা পূরণ করা যায়। এর মাধ্যমেই সবচেয়ে বাস্তবসন্মত সমাধান হতে পারে বলে বক্তারা মত প্রকাশ করেন।
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর অভিভাবক, ছাত্রছাত্রীদের মানসিক উৎকন্ঠার কথা বলেন চলচ্চিত্র বিভাগের অধ্যাপক অভিজিৎ রায়।তিনি বলেন, সারা দেশে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রাজ্যের মিশনারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও ভর্তি শুরু হয়ে গেছে। যাদবপুরের মত একটি প্রতিষ্ঠান যদি এখনো ভর্তি শুরু না করতে পারে তাহলে ভাল ছাত্রছাত্রীদের পাবে না। এটা উচ্চশিক্ষার মানের দিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভাল নয়।
জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় জানান, এই দীর্ঘসূত্রতা বেসরকারিকরণকে উৎসাহ দেবে। গ্রাম ও মফ:স্বলের মেধাবী গরিব ছেলেমেয়েরা বিপদে পড়বে। শিক্ষক সংগঠন হিসেবে আজই উচ্চশিক্ষা দফতর, অনগ্রসর কল্যাণ দফতরকে চিঠি দিচ্ছে জুটা। দ্রুত সিদ্ধান্ত না নিলে অভিভাবকদের কাছেও যাবার চেষ্টা করা হবে।
আন্তর্জাতিক বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল মাতিন দেশের প্রেক্ষিতে সংরক্ষণের অধিকারের প্রশ্ন ও প্রাসঙ্গিকতার ভিত্তিতে সরকারের ভূমিকার কথা বলেন। এছাড়াও অধ্যাপক ফারুক আহমেদ, অধ্যাপক রাহি সোরেন প্রমুখ সংরক্ষণের অধিকার রেখে দ্রুত ভর্তি চালুর কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, উচ্চ শিক্ষায় ওবিসি সংরক্ষণ কত হবে, তা নিয়ে রুজু হওয়া মামলা এখনও ঝুলে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। যার ফলে উচ্চমাধ্যমিক থেকে শুরু করে স্নাতক, এমনকী স্নাতকোত্তরেও নতুন পড়ুয়া ভর্তির ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। সেই জটিলতার জেরেই থমকে আছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া।