যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবিলম্বে ইসি’র বৈঠক ডাকার দাবি

আমাদের ভারত, কলকাতা, ১৭ জুলাই: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবিলম্বে কার্যনির্বাহী কমিটি অর্থাৎ
ইসি-র বৈঠক ডাকার দাবি জানাল সারা বাংলা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (আবুটা)-র। স্থানীয় শাখার আহ্বায়ক ডঃ দেবব্রত বেরা সোমবার আবুটা-র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের কাছে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। তাতে তাঁকে জানানো হয়, বহু আন্দোলন সত্বেও বিগত ৫ মাস কার্যনির্বাহী কমিটি অর্থাৎ কোনও ইসি-র বৈঠক ডাকা হয়নি। প্রাক্তন উপাচার্যের মতো বর্তমান ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যও দীর্ঘদিন ধরে ইসি-কে অচল করে রেখেছেন।

তাঁকে বলা হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৮১ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য হল― ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশন, বেঙ্গল ও ডন সোসাইটির উদ্দেশ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্ঞান ও শিক্ষার অগ্রগতির জন্য এবং সমাজের ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনের পরিপূরক হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলিকে আরও গণতান্ত্রিক করে তোলা। তা সত্বেও ইসি-কে অচল করে রেখে, তার এক্তিয়ারভুক্ত অর্থনৈতিক বিষয়-সহ শিক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত নানা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন ও সেগুলিকে কার্যকর করছেন কিছু প্রশাসনিক আধিকারিক। সেগুলো কিন্তু জনসমক্ষে আসার কোনও সুযোগ নেই।

দীর্ঘদিন ইসি-কে অচল করে রেখে প্রশাসনিক কর্তা-ব্যক্তিরা ব্যক্তিগত স্তরে যদি সিদ্ধান্ত নিতে থাকেন তাহলে তার পরিণাম নিশ্চয়ই ভয়ঙ্কর হতে বাধ্য। বিশ্ববিদ্যালয় আইনে এ কারণেই ইসি-র দায়িত্ব ও ক্ষমতা এত গুরুত্বপূর্ণ। যা কিছু সিদ্ধান্ত যেখানেই নেওয়া হোক বা যে কেউ নিক না কেন শেষ পর্যন্ত তা ইসির অনুমোদন সাপেক্ষ।

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তাকে পরিচালনা করা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রশাসনের দায়িত্ব। তাই ইসিকে অচল করে রাখার যে কৌশল দীর্ঘদিন ধরে চলছে তা যেমন বেআইনি, তেমনই অগণতান্ত্রিক।

ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য জানান, যে তাঁকে কোনও নীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বারণ করা হয়েছে। ‘আবুটা’-র পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, তা যদি সত্যি হয় তবে ইতিমধ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, গবেষণার জন্য ট্র্যাভেল গ্রান্ট, ৪ বছরের স্নাতক পাঠ্যক্রমে ভর্তি ও পঠন- পাঠন-সহ ভুরি ভুরি সিদ্ধান্ত তিনি নিজে নিচ্ছেন কীভাবে? এর ফলে তো ছাত্র শিক্ষকরা ভবিষ্যতে বিপদে পড়তে পারেন।

তাছাড়া কলকাতা, কল্যাণী, বর্ধমান, রবীন্দ্র ভারতীর মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এই সময়ে ইসি মিটিং ডাকছে এবং সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কী করে? ‘আবুটা’-র পক্ষ থেকে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আগামী সাত দিনের মধ্যে ইসি মিটিং ডাকতে হবে।

উপাচার্য কথা দিয়েছেন তিনি ইসি মিটিং ডাকবেন, তবে তিনি ১৪ দিন সময় চেয়েছেন। আবুটার পক্ষ থেকে তাঁকে বলা হয়েছে অবিলম্বে ইসি মিটিং না ডাকা হলে জঙ্গি আন্দোলনের পথ নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *