স্বরূপ দত্ত, উত্তর দিনাজপুর, ২৯ জুন: তৃণমূল কংগ্রেসের হেমতাবাদ ব্লক সভাপতি তথা হেমাতাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শেখর রায়ের অপসারণের দাবি তুলল তৃণমূল কংগ্রেসেরই একাংশ। এব্যাপারে দলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের কাছে লিখিতভাবে দাবি জানাল পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল কংগ্রেসের ১৩ জন সদস্য।
১৫ টি আসন বিশিষ্ট উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা ১৪ আর বিজেপি মাত্র ১ টি আসন পেয়েছিল। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা শেখর রায়কে সভাপতি করেছিল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যারা। শেখরবাবু মূলত প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা ইটাহারের প্রাক্তন বিধায়ক অমল আচার্যের অনুগামী হিসেবে পরিচিত। গত বিধানসভা নির্বাচন তৃণমূল কংগ্রেস অমল আচার্যকে প্রার্থী না করায় তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। নির্বাচনে উত্তর দিনাজপুর জেলায় বিজেপি ভরাডুবির পর অমলবাবু আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে চেয়ে দলের কাছে আবেদন করেছেন। দল এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবার আগেই জেলা পরিষদের তিন কর্মাধ্যক্ষকে অপসারণ করার দাবি জানিয়ে জেলা সভাপতির কাছে অনাস্থা পেশ করেছে স্থায়ী সমিতির সদস্যরা। এদের মধ্যে রয়েছেন, অমল আচার্যের মেয়ে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধক্ষ পূজা আচার্য, অমলবাবুর দুই অনুগামী করনদিঘির প্রাক্তন বিধায়ক মনোদেব সিংহের স্ত্রী বিপাশা সিংহ এবং শহরবানু বেগম।
এবার দলীয় স্তরে অমল আচার্যের শিকড় উপড়ে ফেলতে এবার তার আরএক অনুগামীর বিরুদ্ধে জেলা সভাপতির কাছে অনাস্থাপত্র পেশ করল হেমতাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা। যদিও হেমতাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শেখরবাবু দলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের কাছে তাঁর অপসারনের কারন জানতে চেয়েছেন। দল যে সিদ্ধান্ত নেবে তা তিনি মেনেও নেবেন বলে শেখরবাবু জানিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল জানিয়েছেন, হেমতাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শেখর রায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থার বিষয়টি রাজ্য কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে নির্দেশ পাওয়ার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। ফলে বিধানসভা নির্বাচনে হেমতাবাদে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করার পরেও গোষ্ঠীদ্বন্দে জেরবার তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত হেমতাবাদ পঞ্চায়েত সমিতি।