পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৬ জুলাই: অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খড়্গপুর কলেজ। ২০২৪ সালে এই কলেজের “প্লাটিনাম জুবলি” বর্ষ। এই কলেজের সঙ্গে কবি জীবনানন্দের স্মৃতি বিজড়িত আছে। ঐতিহ্যবাহী এই কলেজের প্রায় ২০ একর জায়গার মধ্যে ৯ একর জায়গার পর্চা তৈরি হয়েছে, কিন্তু বাকি জায়গার বেশ কিছু অংশে তৃণমূল পরিচালিত গভর্নিং বডি, তৃণমূল পরিচালিত পৌরসভা ও পুলিশ ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের মদতে প্রোমোটার ও জমির দালালরা কলেজের বাউন্ডারি ভেঙ্গে সেই জমি দখল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ।
আজ বামপন্থী ছাত্র যুব এসএফআই, ডিওয়াইএফআই তথা কলেজের প্রক্তনীরা রাস্তায় নেমে স্বাক্ষর সংগ্রহ ও প্রতিবাদ সভা করেন। এই কর্মসূচি করতে গিয়ে রাস্তা অবরোধ করার সময় পুলিশ আন্দোলনে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলনকারীরা পাল্টা প্রশ্ন করেন, যখন কলেজের দেওয়াল ভাঙ্গা হলো প্রশাসন কোথায় ছিলো? কত টাকা খেলো পৌরসভা? তাদের দাবি অধিকৃৎ পুরো জায়গা যতক্ষণ কলেজের নামে না হচ্ছে ততদিন এই আন্দোলন চলবে।
এই খড়্গপুর কলেজ বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্যতম হেরিটেজ কলেজ। কবি জীবনানন্দ দাশের অধ্যাপনার ক্ষেত্র ছিল এই খড়্গপুর কলেজ। এছাড়াও সংগঠিত ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসে অন্যতম দুর্বার ঘাঁটি খড়্গপুর কলেজ, সেই খড়্গপুর কলেজের জায়গা অবৈধ ভাবে জবরদখল করছে জমি মাফিয়ারা। কলেজের জায়গা দখল করে বিল্ডিং উঠছে, জায়গা বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে অবৈধভাবে। বারবার প্রশাসনিক দপ্তরে অভিযোগ জানানোর পরেও এই জবর দখল বেড়েই চলেছে। প্রশাসন ও শাসক দল উভয়ই এই চক্রান্তে জড়িত বলে অভিযোগ। এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে, সাধারণ ছাত্রছাত্রী, প্রাক্তনী এবং শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের সমবেত করে খড়্গপুর কলেজের সামনে আজ বিক্ষোভ সভা, স্বাক্ষর সংগ্রহ এবং পথ অবরোধ করে এসএফআই, ডিওয়াইএফআই।
পরে পুলিশ প্রশাসন উপস্থিত হয়ে আন্দোলনকারীদের দাবির সঙ্গে সহমত হয়ে অতিদ্রুত হস্তক্ষেপ করার আশ্বাস দিলে পথ অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু দাবি না পূরণ করা হলে, খড়্গপুর কলেজকে রক্ষা করার দাবি নিয়ে ভারতের ছাত্র ফেডারেশন এসএফআই প্রয়োজনে খড়্গপুর শহর সহ সারা জেলা অবরুদ্ধ করে দেবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে নেতৃত্বদের পক্ষ থেকে।