সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা, ২৮ মার্চ: নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পেতে বা কিনতে যাতে সাধারণ মানুষের কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য অনলাইনের মাধ্যমে ই-পাস দেওয়ার পদ্ধতি চালু করল কলকাতা পুলিশ। একই ভাবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, আপৎকালীন এবং জরুরী পরিষেবার জন্য নিকটবর্তী থানা থেকে বিক্রেতাদের অথবা যাত্রীদের পাস সংগ্রহ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, এখন অনেকেই অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে শপিং মল থেকে জিনিসপত্র অর্ডার দেন। কিন্তু সংস্থা থেকে সেই মাল ডেলিভারি দিতে বেরিয়ে পুলিশি হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছে অনেক ডেলিভারি বয়কে। যার জন্য রাজ্য প্রশাসনের প্রতি অসহযোগিতার ক্ষোভ জানিয়ে এই পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছিল অ্যাপ সংস্থা। এই সমস্যা সমাধানে অনলাইনে ই-পাস দেওয়া শুরু করল কলকাতা পুলিশ।
শনিবার লালবাজারে এই নতুন পরিষেবা চালু করেন নগরপাল অনুজ শর্মা। জানা গিয়েছেcoronapass.kolkatapolice.org ওয়েবসাইটে গিয়ে লগ ইন করে অনলাইনে নিজের তথ্য দিয়ে ফর্ম পূরণ করতে হবে গ্রাহককে। তারপর তিনি তার ই মেল বা এসএমএসে একটা বিশেষ কিউ আর কোড পেয়ে যাবেন। নির্দিষ্ট রুটে এবং নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বহাল থাকবে এই কিউ আর কোড। আর সেটি প্রিন্ট করে গাড়িতে লাগিয়ে নিলেই আর কোনও চেকিং পয়েন্টে ওই সংস্থার গাড়িকে আটকাতে হবে না।
অন্যদিকে, এলাকার বাজারে যাতে ভিড় না হয়, তার জন্যও অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে নিউ আলিপুর থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, প্রথমে তারা স্থানীয় বাসিন্দাদের হোয়াটসঅ্যাপ ব্রডকাস্টিংয়ের মাধ্যমে এলাকার সমস্ত মার্কেটের ব্যবসায়ীদের নাম, ফোন নম্বর এবং কার কাছে কি পাওয়া যাবে, সেই তথ্য জানিয়ে দিয়েছেন। ওই ব্যবসায়ীকে ফোন করে জিনিস কখন অর্ডার দিতে পারবেন মানুষ, সেটাও লেখা রয়েছে ওই মেসেজে।
ফোন করে অর্ডার দেওয়ার পরের দিন কয়েকজন পুলিশ অফিসার নিজে গিয়ে স্যানিটাইজ ব্যাগে সমস্ত জিনিস ভরিয়ে নিজেদের নজরদারিতে ভ্যানে করে বাড়ি বাড়ি দিয়ে আসছে। এই কাজে ঠিকঠাক নজরদারি ও পৌঁছে দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকজন অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বাজারে ভিড় কমানোর জন্য নিউ আলিপুর থানার এই অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। ঠিকঠাক চললে অন্য থানাও এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারে বলে আশা পুলিশকর্তাদের।