আমাদের ভারত, ১২ নভেম্বর: দেশের রাজধানীর বাসিন্দাদের প্রতি চারজনের মধ্যে একজনের ইতিমধ্যে করোনা হয়েছে। অর্থাৎ দিল্লির প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই কেউ না কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শহরের সেরো সার্ভে রিপোর্ট দেখে এমনই মন্তব্য করেছেন দিল্লি হাইকোর্ট।
দিল্লিতে চতুর্থবার সেরো সার্ভে করা হয়েছে। বুধবার সেরো সার্ভে রিপোর্ট পেশ করা হয়। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি সুব্রামানিয়াম প্রসাদের বেঞ্চে। দিল্লির মধ্যভাগে এই সার্ভে করা হয়েছিল সেপ্টেম্বরে। এখন সেখানে দ্বিগুণ সংক্রমণ বেড়েছে।
সর্বশেষ সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে শহরের ২৫% বাসিন্দার রক্তে অ্যান্টি বডি তৈরি হয়েছে। দুই বিচারপতির বেঞ্চ মন্তব্য করেছেন,” দিল্লি প্রতিটি বাড়িকেই স্পর্শ করেছে করোনা”।
বিচারপতিরা জানতে চান এই পরিস্থিতিতে দিল্লি সরকার কেনো বিধি-নিষেধ শিথিল করছে? অথচ অন্যান্য অনেক রাজ্যে এখনও নিষেধাজ্ঞা বহাল আছে।
অক্টোবরের ১৫ থেকে ২১ তারিখের মধ্যে দিল্লিতে করোনা সংক্রমণ নিয়ে সমীক্ষা হয়। ১৫ হাজার ১৫ জনের ওপর সমীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা গেছে মহিলারা ২৬.১ শতাংশ সংক্রমিত হয়েছেন। পুরুষদের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে ২৫.৬ শতাংশ। ৫০ বছরের উর্ধ্বে বয়স্ক মানুষ সংক্রমিত হার ২৯.৮৩ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন দিল্লিতে করোনা সংক্রমণ এখনও শীর্ষে পৌঁছায়নি। শীর্ষে পৌছানোর পর সংক্রমণের সংখ্যা স্থিতীশীল হলে তখনই আবার সেরো সার্ভে করা উচিত।
তবে সাধারণভাবে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমেছে। একসময় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বিচারে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে চলে গিয়েছিল ভারত। এখন আবার তার পাঁচে নেমে এসেছে। দৈনিক সংক্রমণের হারও অনেকটাই নেমে এসেছে। কমেছে করোনার মৃত্যুর হার। উল্টোদিকে বেড়েছে সুস্থতার হার।