আমাদের ভারত, ১১ নভেম্বর: লালকেল্লায় গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কড়া বার্তা দিল কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্পষ্ট নির্দেশ দিলেন, হামলার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেক অপরাধীকে খুঁজে বের করতে হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে অগ্রগতি নিয়ে দ্বিতীয় বৈঠক করেন অমিত শাহ। বৈঠকের পর এক্সে তিনি লেখেন, দিল্লির গাড়ি বিস্ফোরণ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠক করেছি। নির্দেশ দিয়েছি ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে খুঁজে বের করা হোক। দোষীরা কেউই ছাড়া পাবে না। কেন্দ্রীয়
এজেন্সিগুলি কঠোরতম পদক্ষেপ করবে।
সোমবার সন্ধ্যায় লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের এক নম্বর গেটের কাছে একটি হুন্ডাই আই ২০ গাড়িতে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় তেরো জনের। বহু মানুষ আহত। কিভাবে বিস্ফোরণ ঘটল তা এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই এনআইএ এই ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে।
ঘটনার সূত্র ধরে কাশ্মীরেও নড়েচড়ে বসেছে নিরাপত্তা বাহিনী। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ একাধিক জায়গায় রাতভর তল্লাশি চালিয়ে ছয় জনকে আটক করেছে। তার মধ্যে রয়েছে পুলওয়ামার বাসিন্দা এক চিকিৎসক ডক্টর উমার উন নবির তিন আত্মীয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, উমার উন নবি সেই গাড়ির মালিক, যেটির মাধ্যমে দিল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটে। এই ব্যক্তি ফরিদাবাদে এক জঙ্গি মডিলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। মডিউল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২৯০০ কেজি বিস্ফোরক। তদন্তকারীদের দাবি, উমার উন নবি এখনো নিখোঁজ। তিনি এই বিস্ফোরণ কান্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সূত্র।
তদন্তকারীদের মতে, লালকেল্লার মতো ঐতিহাসিক স্থানের কাছে বিস্ফোরণ বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। গোটা ঘটনার পেছনে বৃহত্তর জঙ্গি ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেই আশঙ্কা।
দিল্লিতে বিস্ফোরণের দিনই ফরিদাবাদের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং অন্যান্য সংস্থার যৌথ অভিযানের ধরা পড়ে জৈশ- ই- মহাম্মদ ও আনসার ও গজাওয়াত উল হিন্দের সঙ্গে যুক্ত মডিউল এক চিকিৎসক মোজাম্মিল শাকিল। সূত্রের দাবি, তাকে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়ার পরেই আতঙ্কে উমর এই হামলার পরিকল্পনা কার্যকর করেন।
প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত হয়েছিল অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ফুয়েল অয়েল বা এ এম এফ ও। সাধারণ শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় এটি, কিন্তু সন্ত্রাসবাদীরা এটি শক্তিশালী বিস্ফোরক হিসেবেও ব্যবহার করে থাকে।

