Modi, BJP, দিল্লি বিস্ফোরণ! চক্রান্তের শেকড় খুঁজে বের করা হবে, কাউকে রেয়াত করা হবে না, ভুটান থেকে হুঁশিয়ারি মোদীর

আমাদের ভারত, ১১ নভেম্বর: দু’দিনের ভুটান সফরে গিয়ে দিল্লির ভয়াবহ বিস্ফোরণ নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বললেন, কাল সন্ধ্যা বেলা যে বিস্ফোরণ হয়েছে তার ষড়যন্ত্রের শিকড় খুঁজে বের করা হবে। নেপথ্যে চক্রান্তকারী যারা রয়েছে তাদের কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না।

দিল্লির লালকেল্লার সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের তদন্তে উঠে এসেছে পাকিস্তানি মদত পুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জৈশ- ই মহম্মদের নাম। এই ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, অন্তত কুড়ি জন আহত হয়েছে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে কাশ্মীরের চিকিৎসক উমর উন নবি, যিনি জৈশের হারিয়ানা, ফারিদাবাদ মডিউলে সদস্য বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।

আজ এই ঘটনায় ভুটানের এক জনসভা থেকে মোদী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে রয়েছে সরকার। আমাদের এজেন্সি ঘটনার গভীরে গিয়ে তদন্ত করবে। দিল্লির ঘটনায় আমরা সবাই ব্যথিত। সমস্ত দোষীদের কাঠগড়ায় এনে দাঁড় করানো হবে।

সূত্রের খবর, রবিবার নিজের দুই সহযোগী চিকিৎসক মজম্মিল শাকিল ও আদিল মহম্মদ রাথারের গ্রেফতারে খবর জানার পরই ভয় পেয়ে উমর বিস্ফোরণ ঘটায়। বিস্ফোরণের আগেই মডিউলের আস্তানা থেকে প্রায় ২৯০০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করে এনআইএ ও রাজ্য পুলিশ।

সোমবার সন্ধ্যায় লালকেল্লার পাশে নেতাজি সুভাষ মার্গে বিস্ফোরিত হয় একটি সাদা গাড়ি, তাতে উমরই ছিলেন চালকের আসনে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, গাড়িটিতে ব্যবহৃত হয়েছিল অ্যামোনিয়ার নাইট্রেট ফুয়েল, যা এক ধরণের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিস্ফোরক। ঘটনার আগে দীর্ঘ সময় গাড়িটি সিগনালের কাছে থেমেছিল বলে দেখা গেছে সিসিটিভি ফুটেজে। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের বাইশটি গাড়িতে।

দিল্লি পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ সূত্রে জানা গেছে, গাড়িটি প্রথমে সলমান নামে এক ব্যক্তির নামে নথিভুক্ত ছিল। পরে কয়েক হাত বদলের পর তা উমরের কাছে পৌঁছায়। উমরই ছিলেন গাড়ির শেষ ব্যবহারকারী ও চালক। বিস্ফোরণের পর তার দেহাংশ শনাক্ত করতে ডি এন এ পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ।

কে এই উমর? ১৮৮৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামাতে উমরের জন্ম। আল ফালাহ মেডিকেল কলেজে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। হোয়াইট কলার সন্ত্রাস মডিউল- এর অন্যতম সদস্য তিনি।

উপা আইনে ভারতীয় দণ্ডবিধির খুন ও হত্যার চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে যুক্ত রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে এন আই এ ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *