Devdutta Majee, Delhi blasts, দিল্লি বিস্ফোরণ! ডাক্তাররা কীভাবে জঙ্গি হলেন? চিকিৎসা পেশায় আসার অনেক আগেই এদের মগজ ধোলাই হয়ে গেছিল, দাবি দেবদত্ত মাজির

আমাদের ভারত, ১৭ নভেম্বর: দিল্লি বিস্ফোরণের পেছনে আছে একদল চিকিৎসক। ইতিমধ্যেই জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার জন্য বেশ কয়েকজন চিকিৎসককে গ্রেফতারও করা হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনায় অবাক হয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন কিভাবে এত উচ্চ শিক্ষিত মানুষ যারা কিনা চিকিৎসক, মানুষের জীবন রক্ষা করা যাদের কাজ, তারা যুক্ত হলেন? কিন্তু এই প্রশ্নের স্পষ্ট জবাব দিয়ে বিজেপি নেতা দেবদত্ত মাজি দাবি করেছেন, চিকিৎসা পেশায় আসার অনেক আগেই এদের মগজ ধোলাই হয়ে গেছিল। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, জঙ্গিরা এখন এই ধরনের জঙ্গি কার্যকলাপ চালাতে চিনের মাটিকে ব্যবহার করেছে।

দেবদত্ত মাজি বলেন, চিকিৎসক হবার আগেই এদের মগজ ধোলাই হয়ে গিয়েছিল। পেশা হিসেবে যে চিকিৎসক হতে চাওয়ার অনেক থেকেই তারা ঠিক করে নিয়েছিল চিকিৎসক হবার পর তারা কী করবে। সেই জন্য এরা রাইসিনের মতো বিষের প্রয়োগ করার পরিকল্পনা পর্যন্ত করেছিল।

বিজেপি নেতার দাবি, যারা মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে অর্থাৎ মাদ্রাসাতে যেটা পড়ানো হয় সেটা এই ঘটনার জন্য ইন্ধন যোগায়।

তিনি বলেন, দিল্লিতে যে বিস্ফোরণ হয়েছে তাকে কেন্দ্র করে যারা গ্রেফতার হয়েছে বা তার আগে যারা গ্রেফতার হয়েছে এদের মধ্যে বেশিরভাগই হচ্ছে ডাক্তার। অনেকেই বলছেন, এরা শিক্ষিত, কী করে এদের মগজ ধোলাই হলো? তিনি এক্ষেত্রে ওসামা বিন লাদেনের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, ওসামা ছিল বিরাট বড়লোক পরিবারের ছেলে এবং ইঞ্জিনিয়ার। তার কাছে কোনো কিছুর খামতি ছিল না, কিন্তু সে ওসামা বিন লাদেন হল। অর্থাৎ সন্ত্রাসবাদীদের পড়াশোনা দিয়ে বিচার করা যাবে না। আধুনিক শিক্ষা দিয়ে এদের বিচার করা যাবে না। এদের মননে থাকা উদ্দেশ্যটা আসল।

কিন্তু অনেক আজমল কাসভের নাম বলবে। কারণ সে পড়াশোনা জানতো না। এই প্রসঙ্গে দেবদত্ত মাজি বলেন, কাসভ কে যে বা যারা নাশকতার জন্য লজিস্টিক দিল, অর্থ যোগালো, বুদ্ধি দিল, তারা তো ওর মত মূর্খ নয়। তারা তো শিক্ষিত। তাঁর কথায়, অর্থনৈতিক ক্ষমতা এবং শিক্ষা এটা দিয়ে সন্ত্রাসবাদীদের বিচার করা যাবে না, কারণ তাদের মনের ভেতরে জেহাদী ভাবনা আছে।

আরো একটি বিষয়ে দেবদত্তবাবু দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। দিল্লি বিস্ফোরণে জড়িত ডাক্তাররা বেশিরভাগই চিন থেকে পাশ করেছে। এদিকে চিন পাকিস্তানের বন্ধু। ফলে সেখানে অল্প বিস্তার হলেও ভারতের বিপক্ষে নেতিবাচক আলোচনা চলে। আর পাকিস্তানের বন্ধু হওয়ার ফলে আইএসআই সেখানে গিয়ে ট্রেনিং করিয়ে থাকতে পারে এইসব চিকিৎসক জঙ্গিদের। এর ফলে এই জঙ্গিদের পাসপোর্টে চিনের স্ট্যাম্প পড়লেও পাকিস্তানের স্ট্যাম্প পড়লো না। ফলে এরা ভারতেও সন্দেহের তালিকায় এলো না। কারণ এদের পাসপোর্টে পাকিস্তানের বদলে রয়েছে চায়না স্ট্যাম্প। এই ধরনের বিষয়গুলো দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনার পরে উঠে আসছে বলে মনে করছেন দেবদত্ত মাজি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *