আমাদের ভারত, ১০ নভেম্বর: রাজধানীতে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ, লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের সামনে। বিস্ফোরণের ফলে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে দিল্লির রাজপথ। পুড়ে খাঁক হয়ে গেছে একের পর এক গাড়ি। এখনো পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, ১৫ জনকে এখনো পর্যন্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঢোকার মুখেই সাতজনের মৃত্যু হয়। তিনজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক।
ঘটনাস্থলের কাছেই ছিলেন এক স্থানীয় যুবক। জনবহুল এই এলাকায় সন্ধে সাতটার কয়েক মিনিট আগে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা অঞ্চল। প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, হঠাৎ বিরাট আওয়াজ, মনে হলো পৃথিবী দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে। কানে তালা লেগে গেল। এরপরে গিয়ে দেখি চতুর্দিকে আগুন জ্বলছে। দাউ দাউ আগুন। আমরা অনেকেই সেখানে ছুটে যাই। কাছে যেতেই দেখি মৃতদের শরীর ছিন্নভিন্ন। মৃতদের দেহাংশ ছড়িয়ে পড়ে আছে। কারোর হার্ট বেরিয়ে গেছে তো কারোর ফুসফুস। এক ভয়ানক দৃশ্য, বর্ণনা করা সম্ভব নয়।
দিল্লির দমকল বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের পরেই দিল্লিতে জারি হয়েছে হাই এলার্ট। এন আই এ, এন এস জি ঘটনাস্থলে পৌছেছে। গেছে ফরেন্সিক দল। রয়েছে স্পেশাল সেল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। কিভাবে এই ঘটনা ঘটলো? এর পেছনে কারা? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সোমবারই দিল্লির কাছে ফরিদাবাদ থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছিল। শ্রীনগরে পাক জঙ্গি সংগঠন জৈশ- ই- মহম্মদের পোস্টার শাঁটার অভিযোগে ধৃত চিকিৎসককে জেরা করে এই বিস্ফোরকের ভান্ডারের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। দিল্লি বিস্ফোরণে জৈশ জঙ্গি গোষ্ঠীর হাত থাকতে পারে বলে অনুমান। প্রশ্ন উঠেছে, আবার কি মাসুদ আজহার এই হামলা চালালো ভারতে? তার জঙ্গি গোষ্ঠীরই কি হাত থাকতে পারে দিল্লির এই ভয়াবহ বিস্ফোরণে?

