আমাদের ভারত, ১৩ অক্টোবর: দুর্গাপুরে ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ করা হয়েছে, এমনই ইঙ্গিতই মিলেছে মেডিকেল রিপোর্টে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে গভীর ক্ষত রয়েছে। প্রচুর রক্তপাত হয়েছে। ধর্ষণের কারণেই এই রক্তপাত বলে মনে করা হচ্ছে।
শুক্রবার রাতে ডাক্তারি ছাত্রী কলেজের হোস্টেল থেকে এক বন্ধুর সঙ্গে ফুচকা খেতে বেরিয়েছিলেন। ফেরার পথে তাকে জোর করে একটি নির্জন জঙ্গলে টেনে নিয়ে যায় কয়েকজন দুষ্কৃতি। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, অভিযুক্তরা তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় ও ৩০০০ টাকা চায়। মেয়েটি টাকা দিতে না পারায় তাকে মারধর করা হয় ও অত্যাচার চালায় তারা। কিছুক্ষণ পর রক্তাক্ত অবস্থায় তার বন্ধু তাকে উদ্ধার করে মেডিকেল কলেজে আনে।
নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, রাত দশটার পর ফোন পেয়ে কলেজে পৌঁছাই। মেয়েকে ভয়ঙ্কর অবস্থাতে পাই। ওর শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। ঘটনার রাতে যে বন্ধুর সঙ্গে তরুণী বেরিয়েছিলেন তাকে পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলে অন্তত ৫ জন উপস্থিত ছিল।
নির্যাতিতা মেয়েটি এখনো বেসরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। সোমবার মূল অভিযুক্ত রফিকুল শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে শনিবার তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। রবিবার রাতে চতুর্থ জনকে ধরে পুলিশ। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর দুর্গাপুর পুর নিগমের এক অস্থায়ী কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। শেষের দু’জনকে সোমবার মহকুমা আদালতে তোলা হয়। তাদের নয় দিনের পুলিশি হেফাজতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

