আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ৩০ ডিসেম্বর: তলবি সভা করে জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি দখলের প্রক্রিয়া তৃণমূলের। মেন্টরের উপস্থিতি ঘিরে জোর বিতর্ক। আইনী পথে হাঁটছে বিরোধীরা। থমকে যাবার আশঙ্কায় অনাস্থা প্রক্রিয়া।
সভাধিপতিকে কাছে পেতেই জেলা পরিষদে একছত্র রাজ করতে তলবি সভা করে স্থায়ী সমিতি দখলের প্রক্রিয়া শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদে অনুষ্ঠিত তলবি সভায় ছয়টি স্থায়ী সমিতি থেকে তৃণমূল বিরুদ্ধ ৯ সদস্যের পদ খারিজের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে শাসক দল। ১৮ আসন বিশিষ্ট দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদে ১৪ জন কর্মাধ্যক্ষ নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে বিজেপির দখলে রয়েছে ৪ জন কর্মাধ্যক্ষ। এমন পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণ স্থায়ী সমিতির দখল নিতে মরিয়া তৃণমূল শিবিরের তরফে এদিন তলবি সভার ডাক দেওয়া হয়। পূর্ত, কৃষি, মৎস্য, ভূমি, বন, বিদ্যুৎ এবং শিক্ষা স্থায়ী সমিতি থেকে তৃণমূল বিরুদ্ধ ৯ সদস্যকে ঝেড়ে ফেলতে ২৩ জনের সমর্থন সামনে আনে শাসক দল। আগামী ১৫দিনের মধ্যেই অনাস্থা এনে এই ৯ সদস্যকে তাঁদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে বলে দাবি তৃণমূলের। যদিও এদিন বিরোধীদের কোনও সদস্যই এই সভায় উপস্থিত ছিলেন না। এদিকে তলবি সভায় মেন্টর শুভাশিল পালের উপস্থিতি নিয়ে জোর বিতর্ক দেখা দিয়েছে। বিরোধীদের দাবি আড়াই বছরের আগে কোনও সদস্যকে স্থায়ী সমিতি থেকে সরানো সম্ভব নয়। তাই তৃণমূলের আনা এই আইন বিরুদ্ধ অনাস্থা প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে আইনের পথেই হাটছেন বিরোধীরা।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা রায় জানিয়েছেন, তলবি সভা হয়েছে। তবে এই বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি নন।
বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, বর্তমানে জেলা পরিষদে তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। সেই কারণে সেখানে তাঁর উপস্থিতির কোনও বিষয় নেই। তবে স্থায়ী সমিতির বৈঠকে মেন্টরের উপস্থিতি কাম্য নয়। কেননা মেন্টর পদ পঞ্চায়েত আইনেই নেই। নিয়ম বহির্ভূত ভাবে তিনি সেখানে উপস্থিত থেকেছেন।