আমাদের ভারত, মুর্শিদাবাদ, ৪ নভেম্বর: আগামী ৮ নভেম্বর মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে সদ্য প্রয়াত জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের স্মরণ সভা আয়োজন করা হয়েছে, যার মূল বক্তা শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্য বক্তার আমন্ত্রণ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। এই বিতর্কের মধ্যেই বুধবার বিকেলে মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে সভাস্থল পরিদর্শন করলেন মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোসারফ হোসেন ও সহ সভাধিপতি বৈদনাথ দাস।
মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোসারফ হোসেন জানান, তৃণমূল বা কোনও দলের ব্যানারে নয় মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এই স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে খড়গ্রামের কৃষক বাজার সংলগ্ন মাঠে। আগামী রবিবার ৮ নভেম্বর ৩ টের সময় আমরা স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত করছি জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে। এই স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। আমরা সেই সভা জেলা পরিষদের উদ্যোগে করব দলমত নির্বিশেষে। মফিজুদ্দিন সাহেব আমাদের জেলা পরিষদের সহকর্মী আমাদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। পার্টি একদিকে, আমাদের সরকারি কাজ, কর্মসূচি একদিকে। জেলা পরিষদ একটা সেলফ গভর্নমেন্ট, সেই জায়গায় আমরা আমাদের জেলা পরিষদের উদ্যোগেই স্মরণসভাটা করছি। পার্টি আর জেলা পরিষদকে এক করে দেওয়াটা ঠিক নয়।
যদিও এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতিতে এক উল্লেখযোগ্য মুখ শুভেন্দু অধিকারী। যদিও তৃণমূল শিবিরের সাথে অল্প বিস্তর দূরত্ব তৈরি হয়েছে, দীর্ঘ সাত মাস পর মুর্শিদাবাদ জেলার মাটিতে পা রাখতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী, যার সভা ঘিরে ইতি মধ্যেই রাজনৈতিক পারদ চরছে। এই মুহূর্তে স্মরণ সভায় শুভেন্দু অধিকারীর মুর্শিদাবাদে আসাকে ঘিরে শুভেন্দু অনুগামীদের সাথে তৃণমূল নেতৃত্বের চাপানউতোর ঘিরে রাজনৈতিক তরজা জোরকদমে। যা বিরোধীরা এই তরজা উপভোগ করছে।
২১ এর বিধানসভার আগে ২০ শে তৃণমূলের অন্দরের এই কোন্দল প্রকাশ্যে আসায় চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল শিবির। একদিকে প্রকাশ্যে গোষ্ঠী কোন্দল অন্যদিকে সেই কোন্দল তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছে বিরোধীরা। শুভেন্দু অধিকারী মুর্শিদাবাদ জেলার তৃণমূলের কাছে অবজারভার থাকা কালীন যে একটা বড় ফ্যাক্টর তা বলার অবকাশ রাখে না, তাই ৮ই নভেম্বর এই সভা থেকে কি বার্তা দেন তার দিকে তাকিয়ে আছেন জেলার মানুষ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। অন্যদিকে তৃণমূলের কোন কোন নেতা এই সভায় ডাক পান তার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্বরা।