Disaster, North Bengal, উত্তরবঙ্গের বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, পরিস্থিতির দিকে নজর রয়েছে কেন্দ্রের, পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন মোদী

আমাদের ভারত, ৫ অক্টোবর: প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ ও সিকিম। একের পর এক এলাকায় ধস নামছে। ভেঙ্গেছে দুধিয়া লোহার সেতু ও বিজনবাড়ি সেতু। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭। রবিবার সকাল থেকে বন্ধ একাধিক রাস্তা। মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। আরো বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সমগ্র পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন তিনি।

পূর্বাভাস ছিল, সেই মতো গত তিনদিন ধরে টানা বৃষ্টি হয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার সহ উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলায়। বৃষ্টির পরিমাণ বেশি ছিল পাহাড়ি এলাকাগুলিতে। টানা বর্ষণের ফলে মাটি আলগা হয়ে যাওয়ায় শনিবার রাত থেকে ধস নামতে শুরু করে। বন্ধ হয়ে যায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। ধসে চাপা পড়ে ও জলে তলিয়ে মৃত্যু হয়েছে একাধিক স্থানীয় বাসিন্দার। এখনো পর্যন্ত সঠিক সংখ্যা না জানা গেলেও সূত্রের খবর, অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে‌। এই সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে তিস্তা, জলঢাকা সহ প্রায় সমস্ত নদী। ধসের ফলে শিলিগুড়ির সঙ্গে ঋষিখোলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। একই অবস্থা মিরিকের। সেখানে পরপর ধস নামায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এখনো পর্যন্ত।

প্রধানমন্ত্রী মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, দার্জিলিংয়ের সেতু ভেঙ্গে পড়ায় অনেকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আমি মর্মাহত। যারা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাদের প্রতি সমবেদনা। আহতরা দ্রুত আরোগ্য লাভ করুন, এই কামনা করি। টানা ভারি বৃষ্টি ও ধসের কারণে দার্জিলিং ও সংলগ্ন এলাকার যা পরিস্থিতি তাতে নজর রাখা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থেকে সমস্ত সম্ভাব্য সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কোনো উপায় আমাদের হাতে নেই, তবে দ্রুত তা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হবে। উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার দাবি করেছেন তিনি। বৃষ্টি থামলে কাজ দ্রুত করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে আগামীকাল সোমবার উত্তরবঙ্গে যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নবান্নে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যে কোনো অসুবিধায় রাজ্য সরকারের তরফে পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে। উদ্ধার কাজ চলছে দ্রুত গতিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *