সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২১ জুলাই: একুশে জুলাইয়ের সকালে পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে তুমুল উত্তেজনা। মধ্যমগ্রামে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় একজনের। গুরুতর আহত হয় আরও একজন। দীর্ঘক্ষণ দেহ রাস্তায় পড়ে থাকে। এই ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয়রা প্রায় দু’ঘন্টা যশোর রোড অবরোধ করেন। তার ফলে মাঝপথে ধর্মতলামুখী তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বাস আটকে পড়ে। পথচলতি অনেকেই চরম ভোগান্তির শিকার হন।
সোমবার ভোররাত। ঘড়ির কাঁটায় তখন সাড়ে চারটে। জানা গিয়েছে, বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলেন এক যুবক। রাস্তা পেরনোর সময় মধ্যমগ্রামের নজরুল সরণির কাছে একটি পিকআপ ভ্যান তাঁকে ধাক্কা মারে। গুরুতর জখম অবস্থা দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় পড়েছিলেন। সিভিক ভলান্টিয়ার কিংবা পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেননি। সেই কারণে রাস্তায় পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। তাতেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা।
এলাকাবাসীর দাবি, যশোর রোডে ছোট গাড়ি নিয়ন্ত্রণে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সেই কারণে লাগামছাড়া হয়ে ছোট গাড়িগুলি অত্যন্ত দ্রুত যাতায়াত করে। তার ফলে দুর্ঘটনার শিকার হন অনেকে। তবে তা সত্ত্বেও প্রশাসনের হুঁশ ফিরছে না বলেই অভিযোগ। মৃত্যুসংবাদ পাওয়ার পর ক্ষুব্ধ জনতা যশোর রোড অবরোধ করে। রাস্তার পাশে থাকা পুলিশ কিয়স্কে ভাঙ্গচুর করা হয়। খবর পাওয়া মাত্রই বারাসতের এসডিপিও-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। প্রায় ঘণ্টা দু’য়েকের চেষ্টায় পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে দীর্ঘক্ষণ যশোর রোড অবরোধে তুমুল যানজট তৈরি হয়। চরম ভোগান্তির শিকার হন যাতায়াতকারীরা। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ধর্মতলামুখী বাসও বেশ কিছুক্ষণ আটকে পড়ে।