বাংলাদেশে মৃত্যু হালিশহরের বাসিন্দার, ভারতীয় সীমান্তে ফেলে গেল দেহ

সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২১ জুন: বাংলাদেশে আত্মীয়দের বাড়ি বেরাতে গিয়ে মারণ রোগে মৃত্যু হয়েছে। চোরাই পথে সেই মৃতদেহ ফেলে গেল ভারতীয় সীমান্তের এক পটল খেতে দাবি পুলিশের। মৃত ব্যক্তির নাম গোবিন্দ চন্দ্র দাস (৬২)। রবিবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত আংরাইল এলাকার একটি পটল খেত থেকে ওই ব্যক্তির মৃত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ বাংলাদেশের দালালরা টাকার জন্য তাকে খুন করে পালিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রের খবর, এক ব্যক্তি সকালে পটলের ফুল তুলতে গিয়ে একটি মৃতদেহ লক্ষ্য করে। খবর দেওয়া হয় বিএসএফ জওয়ানদের। আংরাইল বিওপির ১৫৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের বিএসএফ ও সুটিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক যৌথ ভাবে ওই মৃতদেহ শনাক্ত করে এবং পরিচয় জানতে পারে। মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য বনগাঁ মহাকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। পরে ওই ব্যক্তির পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। মৃত ব্যক্তি হালিশহরের বাজারপাড়া মেইনরোডের বাসিন্দা।

পরিবার সূত্রে খবর, লকডাউনের আগে পাসপোর্টের মাধ্যমে বাংলাদেশে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে। লকডাউন চলাকালীন সে বাংলাদেশে অসুস্থ হয়ে পড়ে কারণ তিনি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত। শরীরের কষ্ট সহ্য না করতে পেরে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের পথ বেছে নিয়েছিলেন। দালাল মারফত চোরাই পথে ভারতে আসেন গোবিন্দ বাবু। শুক্রবার সন্ধ্যায় এক দালাল গোবিন্দবাবুর বাড়িতে ফোন করে খবর দেয় তিনি সীমান্তের পাশে একটি পাটক্ষেতে দাঁড়িয়ে আছেন। এই কথা পরিবারকে জানানোর পর গোবিন্দবাবুর ফোনের সুইচ অফ হয়ে যায়। ছেলে হেমন্ত দাস ওই দালালের কথা মত দুদিন ধরে সীমান্তবর্তী এলাকায় খোঁজ খবর চালায়। অবশেষে আজ সকালে একটি পটল ক্ষেতের পাশে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ লক্ষ্য করে গ্রামবাসী।

ছেলে হেমন্ত দাস বলেন, রবিবার সকালে গাইঘাটা থানা থেকে ফোন যায়। জানতে পারি আমার বাবা মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। তবে আমাদের অনুমান আমার বাবাকে টাকার জন্য বাংলাদেশি দালালরা খুন করে পালিয়ে গিয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান বাংলাদেশেই মৃত্যু হয়েছে। ভিসা শেষ হয়ে যাওয়ায় দেহ সীমান্তে ফেলে গিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *