আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, বীরভূম, ২৪ মে:
তীর্থক্ষেত্রে বাউন্সার দিয়ে চলছে বার। অনুমতি ছাড়াই ছোট ছোট পোশাকে চটুল গানের সঙ্গে চলে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির নাচ। রাত বাড়লে বেলেল্লাপনা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ওড়ানো হয় লক্ষ লক্ষ টাকা। মদ্যপানে এবং মহিলাদের নৃত্যে বুঁদ হলেই মদ্যপায়ীদের করা হয় সর্বশান্ত। কেড়ে নেওয়া হয় মোবাইল, সোনার গয়না। এমনই অভিযোগ পেয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে প্রশাসন। মন্দির কমিটিও বার বন্ধের দাবি জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, সিদ্ধপীঠ তারাপীঠ এখন রাজ্য ছাড়িয়ে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। এই তীর্থক্ষেত্রে আগত যাত্রীদের নেশায় বুঁদ করে অর্থ উপার্জন করতে মন্দিরের ঢিল ছোড়া দূরত্বে গজিয়ে উঠেছে বার। তার আড়ালে চালানো হচ্ছে স্বল্প পোশাকের তরুণীদের নৃত্য। প্রায় দিন এনিয়ে অশান্তির সৃষ্টি হয় সেখানে। মদ্যপায়ীদের বাউন্সার দিয়ে মারধর করে বাইরে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকি টাকা, মোবাইল, সোনার গয়না কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
সম্প্রতি জয়ন্ত রায় নামে এক মদ্যপায়ীর সঙ্গে এমনই ঘটনা ঘটেছে। তিনি প্রশাসনের সর্বত্র লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি বলেন, “বারের ভিতর রাত বাড়লে মদের সঙ্গে ড্রাগ মেশানো হয়। হুক্কা বারে গাঁজা, চরস মিশিয়ে সবাইকে নেশায় বুঁদ করে চলে লুঠপাট। আমার সঙ্গেও একই ব্যবহার করা হয়েছে। সাড়ে তিন লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার চেন কেড়ে নিয়েছে বারের ম্যানেজার সপ্তম সিংহ এবং বাউন্সার সিলন শেখ। আমি প্রশাসনের সর্বত্র লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি”।
এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মন্দির কমিটিও। মন্দিরের সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, “কোনো তীর্থক্ষেত্রে বার কাম্য নয়। ডান্স বার তো নয়ই। প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করুক”।
বীরভূমের জেলা শাসক বিধান রায় বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে”।