সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, বনগাঁ, ২১ মে: রাতেই আঁচ পাওয়া গিয়েছিল কতটা মারাত্মক হতে চলেছে আমফানের রাক্ষুসে কামড়। সকাল হতেই সামনে এল গোটা মহকুমা জুড়ে দানবীয় সাইক্লোনের রেখে যাওয়া দগদগে ক্ষত। দিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ মহকুমার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসতে থাকে একের পর এক মৃত্যুর খবর, ক্ষয়ক্ষতির খবর। আমফানের রাক্ষুসে কামড়ে মৃত্যু হয় চার জনের। মৃতরা গাইঘাটা থানা এলাকার বাসিন্দা, মা ও মেয়ে মিনতি সর্দার(২৪) ও পূর্ণিমা সর্দার (৩)। গোপালনগর থানার গোপীনাথপুর চৌবেড়িয়ার বাসিন্দা নরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস (৪৯) ও বাগদা থানার মৃত লক্ষ্মণ মুন্ডা (৬৯), পূর্ব মালিপোতা এলাকার বাসিন্দা।
প্রশাসন সূত্রের খবর, গোটা মহকুমা এলাকায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি শহর ও গ্রামে। বহু এলাকাই এখনও পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। বিদ্যুৎ নেই। টেলি যোগাযোগ ব্যাবস্থাও সম্পূর্ণ ভাবে বিপর্যস্ত। যদিও সঠিকভাবে এখনই কিছু বলতে চায়নি প্রশাসন। বনগাঁ মহকুমার বনগাঁ, বাগদা, গাইঘাটা গোপালনগর ও পেট্রাপোল থানা এলাকায় প্রচুর ঘর ভেঙ্গে পড়েছে। মাঠের ধান মাঠেই পড়ে নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎতের খুঁটি ও বহু গাছ ভেঙ্গে পড়েছে।
সকাল থেকেই জনপ্রতিনিধিরা গ্রামে গ্রামে বেরিয়ে পড়েছে। বিধায়ক বিশ্বজিত দাস ও বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডল সহ কর্মী সমর্থকেরা বেড়িয়ে পড়েছে ঘর হারা মানুষের সাহায্য করতে। বিধায়ক বিশ্বজিত দাস বলেন, এই ক্ষতি অপুরণীয়। এই ক্ষতি পুরণ করা কষ্ট সাধ্য ব্যাপার। অনেক সময় লাগবে এই ক্ষতি পুরণ করতে। শুধু মানুষের ঘর বাড়ি ভেঙ্গে যাওয়াই নয়। ক্ষতি হয়েছে ফসলেরও। এখনও বনগাঁ মহকুমার প্রচুর মানুষ খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে।
বনগাঁর বিডিও সঞ্জয় কুমার গুছাইত বলেন, রাতের বিধ্বংসী ঝড়ে বনগাঁর বহু মানুষের ক্ষতি হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে কয়েকজনের। আমাদের প্রতিনিধিরা এলাকায় এলাকায় ঘুরে পরিস্থিতি ক্ষতিয়ে দেখছেন।