আমাদের ভারত, ১৭ ফেব্রুয়ারি: মুখ্যমন্ত্রী ডিএ দিতে পারবেন না, রাজ্যের যুবদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে পারবেন না। রোজগারের ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন না। কোনো কিছুই যদি না পারেন তাহলে মুখ্যমন্ত্রীত্বে থেকে লাভ নেই। আপদ বিদায় হলে বাংলার মানুষের মঙ্গল। এভাবেই একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
শুক্রবার বাঁকুড়ায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওই জেলায় বিজেপির দুটো এমপি, বেশিরভাগ এমএলএ বিজেপির। তারপরও কোনো কাজ হয় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওরা কোকিলের মত কাকের ঘরে ডিম পাড়ে। ভোটের সময় উজ্বলা, ভোটের পর পেট্রোলের দাম বাড়ায়, মেয়েদের সম্মান করতে জানে না। আমরা তো তবু পাট্টা দিই।” এর পাল্টা দিতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, উনি পাট্টা কোথায় দিচ্ছেন? উনি ধাপ্পা দিচ্ছেন। আমাদের এমপিদের জেতানোর পর মানুষ বুঝেছেন বলেই আমাদের এমএলএ’দেরকেও জিতিয়েছেন। আগামী দিনে আবারো আমাদের এমপিদের জেতাবেন। কারণ মানুষ জানে আমাদের এমপিরা কি কাজ করছেন বাঁকুড়ায়। একই সঙ্গে মহিলাদের সম্মান না করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কারো ব্যক্তিগত বিষয়ে কাটাছেঁড়া করা আমাদের উচিত নয়। তিনি বলেন, “আমরা মুখ্যমন্ত্রীর পারিবারিক বিষয়ে কাটাছেঁড়া করতে ঢুকতে যাচ্ছি না। আমরা যদি তার পারিবারিক বিষয়ে কাটাছেঁড়া করতে ঢুকি তাহলে ডাস্টবিনের গন্ধ বেরোবে।”
ডিএ দেওয়ার প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “আমি ম্যাজিসিয়ান নই। টাকা দাও বললেই গুপি বাঘার মিষ্টি দেওয়ার মত টাকা আসবে না। টাকা দাও বললে হবে না, টাকা জোগাড় করতে হয়। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, “কেন্দ্রের বঞ্চনার সত্ত্বেও আমরা থ্রি পার্সেন্ট ডিএ দিয়েছি”।
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “কেন্দ্রের বঞ্চনা বলতে উনি কি বোঝাতে চাইছেন আমি জানি না, বা বুঝতে পারি না। যদি ধরেই নিই কেন্দ্রে আবাস যোজনার টাকা বা ১০০ দিনের টাকা, যে টাকা এখন বন্ধ আছে সেই টাকার কথা বলছেন, তাহলে প্রশ্ন এই টাকা দিয়ে কি ডিএ দেওয়া হয়?” বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ডিএ তো দিতে হয় রাজ্য সরকারের নিজস্ব রোজগারের টাকা থেকে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন মুখ্যমন্ত্রী বলতে পারছে না ইনকাম বাড়াবো? উনি পিসি সরকার, ম্যাজিক জানেন না? তাহলে মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছেড়ে দিন। উনি কর্মসংস্থানের জোগাড় করতে পারবেন না, রোজগার দিতে পারবেন না, ডিএ দিতে পারবেন না, শুধু পদ অলংকৃত করে থাকবেন, দরকার নেই এরকম আপদের। বিদেয় হলে বাংলার মানুষের পক্ষে মঙ্গল।”