আমাদের ভারত, হাওড়া, ২৯ জুন:করাত কলে কাজ করার সময় মেশিনে হাত ঢুকে গিয়ে বাম হাতের কবজির ৯০ শতাংশ কেটে যাওয়ার পর চিকিৎসকের চেষ্টায় কবজি জোড়া লাগলো যুবকের। বাগনানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকের এই সাফল্যে খুশি সাধারণ মানুষ।
জানা গেছে, রবিবার সকাল ন’টা নাগাদ আমতা ২ নং ব্লকের জয়পুরের বাসিন্দা পেশায় করাত কলের কর্মী কৃশানু মন্ডল একটি কাঠের গুঁড়ি চেরাই করার সময় আচমকা তার বাম হাত মেশিনে ঢুকে গেলে কবজির ৯০ শতাংশ অংশ কেটে ঝুলতে থাকে। করাত কলের অন্যান্য কর্মচারীরা দ্রুত কৃশানুকে প্রথমে স্থানীয় বিভূতি ভূষণ ধর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাকে বাগনানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পর হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার সুদীপ্ত মল্লিক তিন ঘন্টার অপারেশন করে কৃশানুর কবজির কাটা অংশ জুড়ে দেয়। বর্তমানে কৃশানু অনেকটাই সুস্থ এবং আস্তে আস্তে হাতের আঙ্গুল নাড়াচাড়া করতে পারছে।
এই প্রসঙ্গে চিকিৎসক ডাক্তার সুদীপ্ত মল্লিক জানান, আহত যুবকের বাম হাতের রেডিয়াল আটারি কেটে যাওয়ায় বিপদের সৃষ্টি হয়েছিল। অপারেশন করে কেটে যাওয়া ধমনী জুড়ে যুবকের কেটে যাওয়া কবজির অংশ জুড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, এক্ষেত্রে সঠিক সময় হাসপাতলে আসায় এবং দ্রুত অপারেশন করায় এটা সম্ভব হয়েছে অন্যথায় হাতের কাটা অংশ জোড়া লাগানো যেত না। এমনকি হাতে পচন দেখা দিতে পারতো।
অন্যদিকে চিকিৎসকের এই প্রয়াসে খুশি কৃশানু জানায়, যেভাবে বাম হাতের কবজি কেটে গিয়েছিল তাতে হাতটাই বাদ চলে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। যদিও চিকিৎসক যেভাবে অপারেশন করে তার হাত জোড়া লাগিয়েছে তাতে তিনি অভিভূত।