ব্যাঙ্ক মিত্রদের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ পুরুলিয়ার বরাবাজারে, ব্যাঙ্কের পরিষেবা নিয়েও অসন্তুষ্ট গ্রাহকরা

সাথী দাস, পুরুলিয়া, ২৯ জুন: ‘ব্যাঙ্ক মিত্ররা গ্রাহকদের টাকা আত্মসাত করছে’। এমনই অভিযোগে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখার ম্যানেজারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানালেন বরাবাজার ব্লকের কয়েকশ গ্রাহক। ওই অভিযোগ পত্রে গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে কর্মরত ব্যাঙ্ক মিত্রদের বহিষ্কারের দাবি করেন তাঁরা। এই অভিযোগ জানিয়ে গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল বরাবাজার থানা এলাকার বেড়াদা, লালডি, সারাজাং ও রাইডি গ্রামের কয়েকশ গ্রাহক।

বেড়াদা গ্রামের একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের অভিযোগ ওই রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের অধীনে কর্মরত প্রকাশ মাহাতো ও গৌতম মাহাতো নামে দু’জন ব্যাঙ্ক মিত্র এলাকার বৃদ্ধ ব্যক্তিরা টাকা তুলতে গেলে তাদের বায়োম্যাট্রিক ব্যবহার করে গ্রাহকের চাহিদার চেয়ে অধিক টাকা তুলে তা আত্মস্থ করতেন। তবে চলতি মাসের ৯ তারিখে গোবিন্দ মাহাতো নামে এক ব্যক্তি ব্যাঙ্ক মিত্র গৌতম মাহাতোর কাছে ২০০০টাকা তুলতে গেলে ব্যাঙ্ক মিত্র চার হাজার টাকা তুলে নেয় পরে ব্যাঙ্ক ডিটেলসে গোবিন্দবাবু পুরো বিষয়টি জানতে পারেন। একই অভিযোগ অপর ব্যাঙ্ক মিত্র প্রকাশ মাহাতোর বিরুদ্ধেও।

যদিও এই বিষয়ে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাননি। তবে অভিযোগটি তিনি গুরুত্ব সহকারে ক্ষতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি অভিযুক্ত ব্যাঙ্ক মিত্র নিজের দোষ স্বীকার করে গ্রাহকের থেকে নেওয়া বাড়তি টাকা ব্যাঙ্কের মধ্যেই ফেরত দেন। তবে এদিন ব্যাঙ্কে উপস্থিত প্রায় শতাধিক গ্রাহক ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষোভ উগরে দেন ব্যাঙ্কে নিয়মিত পরিষেবা না পাওয়ার জন্য।

তারা জানান, ব্যাঙ্কে প্রায় দিন লিঙ্ক থাকে না। পাসবুক আপডেটও করা হয়নি। অনেক সময় বার্ধক্য ভাতা তোলার জন্য অথর্ব ব্যক্তিকে এক হাজার টাকা গাড়ি ভাড়া দিয়ে আসতে হয় ব্যাঙ্কে। ফলে ব্যাঙ্ক মিত্রদের গাফিলতির কারণে চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে এলাকার বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের বলে অভিযোগ। এক ৯০ বছর বয়সী বৃদ্ধা টাকা তুলতে এসে চরম হয়রানির স্বীকার হয়ে দীর্ঘ সময় ব্যাঙ্কের সামনে অসহায় অবস্থায় বসে থাকতে দেখা গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *