জয় লাহা, দুর্গাপুর, ১৬ আগষ্ট: বন্ধ হয়ে পড়ে আছে আপডেট মেশিন। নেই এটিএম কাউন্টার। নেই ব্যাঙ্ক মিত্র। কর্মী সঙ্কটে একটি মাত্র ক্যাশ কাউন্টার। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে সাধারন গ্রাহকরা। অভিযোগ, গ্রাহকের ভিড় থাকলেও একটি মাত্র কাউন্টারে লেনদেনের কাজ হয়। নজিরবীহিন হয়রানি ও দুর্ভোগে বুদবুদের রাষ্ট্রায়ত্ত ইউকো ব্যাঙ্কের শাখায়। আর তাতে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা।
বুদবুদ শুকডাল মোড়ে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ইউকো ব্যাঙ্কের শাখা। গত একবছর ধরে ওই ব্যাঙ্কে পরিষেবা নিতে গিয়ে সাধারন মানুষকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ। পরিষেবা নিতে গ্রাহকদের লম্বা লাইন পড়ে। জানা গেছে, ওই ব্যাঙ্কে বুদবুদ, শুকডাল, ভীড়সিন, তিলডাঙা, সন্ধিপুর সহ বেশ কিছু গ্রামের এক’শ দিনের জবকার্ডধারীর প্রায় সাড়ে ৭ হাজার অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে, স্কুল পড়ুয়া, পেনশোনভোগী, ব্যবসায়ী, সাধারন অ্যাকাউন্ট। সব মিলিয়ে ১৯৫০০ জনের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এছাড়াও দেড়’শ কারেন্ট অ্যাকাউন্ট। ৩ হাজার রয়েছে লোন অ্যাকাউন্ট। প্রায় ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়।
স্বাভাবিকভাবে গ্রাহকদের পরিষেবার চাহিদা রয়েছে বেশী। অভিযোগ, একটি মাত্র ক্যাশ কাউন্টারে পরিষেবা দেওয়া হয়। আশপাশের একাধিক গ্রামের গ্রাহক থাকলেও কোনও ব্যাঙ্ক মিত্র নেই। কোনঈ এটিএম কাউন্টার নেই। তার ফলে চরম হয়রানি ও দুর্ভোগে পড়ে সাধারন গ্রাহকরা। স্কুল পড়ুয়া থেকে বৃদ্ধ পেনশনভোগী, মহিলা সকলেই টাকা তুলতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয় বলে অভিযোগ। এমনকি গত ১৫ দিন ধরে বন্ধ পাশবই আপডেটের কাজ। আপডেট কিয়স্ক থাকলেও মেশিন মুখ থুবড়ে পড়ায় সেটি তালাবন্ধ। আলাদা করে পাশবই আপডেটের কোনও ব্যবস্থা নেই।
গ্রামবাসীরা জানান,” লকডাউনে গ্রামের মানুষের আর্থিক সঙ্কট রয়েছে। ১০০ দিনের কাজের মজুরির ওপর অনেকে নির্ভরশীল। কাজের মজুরি ঢুকলেও তা জানার কোনও উপায় নেয়। ফলে টাকা তুলতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয়। কঠিন পরিস্থিতির মুখে গ্রামাঞ্চলের দিনমজুর সব পরিবার।” বুদবুদের ইউকো ব্যাঙ্ক সুত্রে জানা গেছে,
গ্রাহক অনুযায়ী তিনটি ক্যাশ কাউন্টার রয়েছে। কিন্তু কর্মী সঙ্কট। ৩ জন অফিসারের বদলে ২ জন অফিসার। ৩ জন ক্লার্কের বদলে ১ জন মাত্র ক্লাক। তার জের একটি মাত্র ক্যাশ কাউন্টার খোলা রাখা হয়। ইউকো ব্যাঙ্কের দুর্গাপুর আঞ্চলিক শাখার এজিএম পিসি তেওয়ারী বলেন, “খুব শীঘ্রই আপডেট মেশিন ঠিক করা হবে। গ্রাহকদের স্বার্থে শীঘ্রই কর্মী নিয়োগ করা হবে। পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।”