আমাদের ভারত, ২৮ জানুয়ারি:টেলিভিশনের কোনো অনুষ্ঠান বা সংবাদ যদি হিংসায় উস্কানি দেয় সরকারকে সক্রিয় হয় তা বন্ধ করতে হবে। সংবাদ পরিবেশন নিয়ে যে আইন রয়েছে তা কঠোরভাবে প্রয়োগ করা উচিত সরকারের। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হলে হিংসায় উস্কানি দেওয়া বন্ধ করা দরকার কিন্তু সরকারের ব্যাপারে কিছুই করছে না। আজ একটি মামলার প্রেক্ষিতে এমনটাই বলেছে শীর্ষ আদালত।
টেলিভিশনের কোনো অনুষ্ঠান বা খবর যা হিংসায় উস্কানি দেয় তাকে কড়া হাতের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। একটি মামলার শুনানির প্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় এই কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এক্ষেত্রে যেসব আইন রয়েছে তা কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে কেন্দ্রকে পরামর্শ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সহ তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ । বিচারপতিদের বক্তব্য উস্কানি বন্ধ করা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিন্তু এসব বিষয় গুলোকে আয়ত্তে আনতে সরকার কিছুই করেনি।
২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিল হিংসাত্মক চেহারা ধারণ করেছিল। সেই সময় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এই বিষয়টিও তুলে ধরেন প্রধান বিচারপতি। এই পরিস্থিতিতে পরিচ্ছন্ন ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার উপর জোর দিয়েছেন তিনি।
সরকারের উদ্দেশ্যে আদালত বলে,
বাস্তব হচ্ছে একাধিক অনুষ্ঠানে উস্কানি দেওয়া হয় কিন্তু সরকার সেক্ষেত্রে কিছুই করে না। এ প্রসঙ্গে করোনা অতিমারী ও তবলিগি জামাতের সমাবেশকে জড়িয়ে সংবাদমাধ্যমের নানা উস্কানিমূলক রিপোর্টিংয়ের কথাও তুলে ধরেছেন বিচারপতিরা। বেঞ্চের মতে ওই রকম টিভি অনুষ্ঠান একটি সম্প্রদায়ের উপর প্রভাব ফেলে। কিন্তু সরকার কিছুই করেনি।
বিচারপতি বলেন,” কিছু খবরের ওপর নিয়ন্ত্রণ আইন শৃংখলা রক্ষার একটি অঙ্গ। আমি জানিনা আপনারা কি করে এসব ক্ষেত্রে অন্ধ থাকতে পারেন। আমি আক্রমনাত্মক কিছু করার কথা বলছি না কিন্তু আপনারা তো কিছুই করছেন না।”
সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহেতা বলেন, আদালতের পরামর্শ সরকারকে জানানো হবে। তিনি বলেন, “বেশ কয়েকটি টিভি অনুষ্ঠানে সরকার হস্তক্ষেপ করেছে। এবিষয়ে বিস্তারিত জানানো যেতে পারে। কিন্তু লাইভ চ্যাট শোয়ে কেউ যদি আপত্তিকর কিছু বলে, তাকে থামানো সম্ভব নয়।”
প্রধান বিচারপতি বলেন,” আমরা কারো মুখ বন্ধ করতে চাই না, যে ধরনের সম্প্রচার মানুষকে হিংসায় উস্কানি দেয় তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এখন মানুষ টিভিতে যা খুশি তাই বলতে পারে।”