আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ৫ অক্টোবর:
শরতের শুভ্রাকাশে সাদা মেঘের ভেলা আর কাশফুলেরা চারিদিকে জানান দিচ্ছে মা আসছে। মহালয়ার দিন থেকেই শুরু হয়ে গেল দেবীপক্ষ। কৈলাশ থেকে মর্তে আসতে মা তাঁর ছেলেপুলে নিয়ে রওনা দিলেন বলে। বাতাসে এখন চারদিকে খালি পুজো পুজো গন্ধ। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর প্যান্ডেল থেকে রাস্তায় বিভিন্ন রঙের আলোকসজ্জা। আর এসবের মধ্যেই আমাদের চারপাশে ক্রমেই বেড়ে চলেছে জ্যান্ত দুর্গাদের সংখ্যা। পার্লারে পার্লারে ভিড় পড়েছে আগমনীর ফটোশ্যুটে।
পুজো মানেই শরতের নীল আকাশে খেলে যাওয়া সাদা মেঘের দল। পুজো মানেই কাশ ও শিউলি ফুল। আর এই নীল আকাশ ও কাশফুলকে পিছনে রেখে অনেক তরুণীই পছন্দ করেন নিজেকে মা দুর্গা সাজিয়ে ফটোশ্যুট করতে। বর্তমানে এটা প্রায় ট্রেন্ডের পর্যায়ে পৌছে গেছে। আর সেই ছবি ছড়িয়ে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। উত্তর ২৪ পরগনা থেকে নদিয়ার চাকদা শহরেও দেখা গেল প্রচুর তরুণী মেতেছেন আগমনির ফটোশ্যুটে। এদিন নদিয়ার চাকদার সুমন থাই স্পাতে দেখা গেল তরুণীদের ভিড়। এই পার্লারে প্রফেশনাল ফেসিয়াল, আধুনিক হেয়ার কাটিং, কালার সহ হেয়ার স্মুথনিংয়ে খরচ অতি সামান্য রাখা হয়েছে সাধারণ মানুষের জন্য। যদিও এখানে খুব অল্প খরচেই অনেক সুবিধা করে দিয়েছে পার্লারের কর্ণধার তথা বিউটিশিয়ান পম্পা বিশ্বাস।
তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘ লকডাউনের জেরে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। এবছরে যারা পার্লার মুখি হচ্ছেন তাঁদের জন্য চাকদার সুমন থাই স্পা অনেক সুবিধা করে দিয়েছে। খুব অল্প খরচে সমস্ত কাজ করানো হচ্ছে। এছাড়া পুজোর আগে যে সাজানোগুলি হয়েছে তাঁদের কাছ থেকে কোনও অর্থ নেওয়া হয়নি। তবে গত বছরের থেকে এবছরে প্রচুর মানুষ পার্লার মুখি হয়েছে। আগামী দিনে আরও কাজ বাড়বে বলে মনে করছেন তিনি। সকল ক্রেতা ও বিক্রেতাদের জন্য এই টুকু বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, সকলেই সরকারি বিধিনিষেধ মেনে পার্লারে আসুন।