বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিষেকের মন্তব্য নিয়ে তোপ তথাগত রায়ের

আমাদের ভারত, ৩০ মে: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগে ফৌজদারি আদালত অবমাননার জন্য সোমবার একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা শুরুর আর্জি জানালেন প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়।

বিগত কয়েক মাসে একাধিক মামলায় লাগাতার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সিংহভাগ রায়ই পাশ হয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত ধরে। এদিকে নাম না করে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে সম্প্রতি সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে বিস্তর চাপান-উতর তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

অভিষেকের মন্তব্য নিয়ে পাল্টা রবিবার তোপ দেগেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। অভিষেকের নাম না করে রাজ্যপালের কটাক্ষ, “বিচারব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলা মানে আদপে গণতন্ত্রের সঙ্গে সমঝোতা করা। সমস্ত সীমারেখাই অতিক্রম করে ফেলছেন সাংসদ।’’ এ ভাষাতেই আক্রমণ শানান রাজ্যাপাল।

তথাগতবাবু টুইটার এবং ফেসবুকে সোমবার লিখেছেন, “কলকাতা হাইকোর্টের একজন মাননীয় বিচারপতিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে তিরস্কার করেছেন একজন অভিষেক বা এরকম কিছু। আমি সম্মানের সাথে জানাতে চাই, মহামান্য বিচারপতি এই অভিষেকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আদালত অবমাননার জন্য একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা শুরু করতে পারেন।

আমি মনে করি যে এই ধরনের উচ্চারণ উপেক্ষা করা এবং এই ধরনের প্রতিযোগীদের মুক্ত করে রাখা, জনগণের মনে বিচার বিভাগের প্রতি অসম্মান সৃষ্টি করবে। আমাদের গণতন্ত্রের জন্য বিপর্যয়কর পরিণতি হতে পারে। একজন নাগরিকের ওপর রাষ্ট্র অত্যাচার করলে বিচার বিভাগ শেষ আশ্রয়স্থল হয়।“

পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রবিবার রাজ্যপালকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানান তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। টুইটেই ছুঁড়ে দেন তীব্র কটাক্ষবাণ। বার্তায় অভিষেক লেখেন, “আমি সর্বদা ক্ষমতার সামনে দাঁড়িয়ে সত্যি কথা বলা পছন্দ করি। গতকাল, আমি বলেছিলাম যে কীভাবে কলকাতা হাইকোর্টের ১ শতাংশ বিচারপতি কিছু ব্যক্তিকে রক্ষা করার জন্য কেন্দ্রের সঙ্গে যোগসাজশ করে কাজ করছেন। সবাই দেখছে। মানুষ জানে কে আসলে সমস্ত সীমা পার করেছে ফেলেছে।” এ কথা বলে তিনি জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের একটি লিঙ্কও তাঁর টুইট পোস্টে জুড়ে দেন। ওই প্রতিবেদনে রাজ্যপাল কীভাবে অভিষেকের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন তা তুলে ধরা হয়েছে। অভিষেকের এই পোস্ট নিয়েই নতুন করে চাপান-উতর শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। এতে ইন্ধন যোগাল তথাগতবাবুর বক্তব্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *