তারক ভট্টাচার্য
আমাদের ভারত, ১২ জানুয়ারি: ২০১৫ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত পাঁচ বছরে শহর কতটা উন্নয়ন হয়েছে, তার খতিয়ান তুলে ধরতে তথচিত্র নির্মাণ করতে চলেছে কলকাতা পুরকর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে কলকাতা উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ মিলিয়ে মােট পাঁচটি জোনে ভাগ করে আলাদা আলাদা পুস্তিকাও প্রকাশ করা হবে বলে শনিবার কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর। ইতিমধ্যে জোন ভিত্তিক কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এবিষয়ে গত ৮ জানুয়ারি মেয়র ফিরহাদ হাকিমের অনুমতি নিয়ে পুরকমিশনার খলিল আহমেদ এক নির্দেশিকাও জারি করেছেন।
সূত্রের খবর , কলকাতা পুরসভার ১৪৪ ওয়ার্ডকে পাঁচটি জোনে ভাগ করা হলেও ওয়ার্ড ভিত্তিক উন্নয়নের খতিয়ান আলাদা আলাদা ভাবে তুলে ধরা হবে। তথ্যচিত্র নির্মাণ পর্ব শেষ হলে সেগুলি চলন্ত ভ্যানে এলাকা ভিত্তিক ঘুরে ঘুরে শহরবাসীকে দেখানাে হবে বলে জানান যাদবপুর এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘােষ।
এদিকে পুরকমিশনারের জারি করা নির্দেশিকা অনুযায়ী, তথ্যচিত্র ও পুস্তিকা নির্মাণের জন্য পুরআধিকারিক ও নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে জোনভিত্তিক পাঁচ সদস্যের পাঁচটি কমিটি তৈরিও করে দেওয়া হয়েছে। দক্ষিন কলকাতা জোন কমিটির শীর্ষে রাখা হয়েছে পুরসভার উদ্যান বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমারকে। উত্তর কলকাতা কমিটির শীর্ষে আছেন ডেপুটি মেয়র তথা স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘােষ। জীবন সাহা থাকছেন মধ্য কলকাতা কমিটির শীর্ষে। অন্যদিকে বেহালা কমিটির শীর্ষে রাখা হয়েছে মুখ্যসচেতক রত্ন শুরকে এবং যাদবপুর কমিটির শীর্ষে থাকছেন ১০৭ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর সুশান্ত ঘােষ।
অন্যদিকে, তথ্যচিত্র নির্মাণ নিয়ে সুর চড়াতে শুরু করেছেন বিরােধিরা। পুরসভার বাম দলনেত্রী রত্না রায় মজুমদার জানান , কলকাতা পুরসভা সারা বছর কী কী কাজ করে তা সবিস্তারে পুরকর্তৃপক্ষ প্রকাশিত পুরশ্রী পত্রিকার মাধ্যমে মানুষের তুলে ধরা হয়। ফলে , নতুন করে পুস্তিকা প্রকাশ বা তথ্যচিত্র নির্মাণের প্রয়ােজন নেই বলে তাঁর দাবি। বিজেপি কাউন্সিলর বিজয় ওঝার দাবি , ২০২০ পুরনির্বাচনের জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গােটাটাই রাজনৈতিক স্বার্থে করা হচ্ছে বলেও তাঁর দাবি। তিনি বলেন, এই ভাবে করের টাকা খরচ করে তথ্যচিত্র নির্মাণের কোনও প্রয়ােজন নেই। বরং , তথ্যচিত্র নির্মাণ ও পুস্তিকা ছাপানােয় যে পরিমাণ অর্থ খরচ হবে তা মানুষের সচেতনতার কাজে লাগালে ভালাে হবে।