১০ দফা দাবিতে গড়বেতা থানা অভিযান কর্মসূচি সিপিএমের

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ মে: নিজেদের চাকরির প্রতি সম্মান রক্ষা সহ নিরপেক্ষ ও সংবিধান নির্দেশিত পথে পুলিশ প্রসাশনের ভূমিকা পালন, সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনে অবাধ ও সুষ্ঠু ভাবে পুলিশ প্রসাশনের ভূমিকা পালন সহ ১০ দফা দাবিতে গড়বেতা থানা অভিযান কর্মসূচি সিপিএমের। তাতে সামিল হলেন শত শত সাধারণ মানুষ। তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে গড়বেতা থানা অভিযান জনরোষ ও জনজোয়ারে পরিণত হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ সহ দিবাকর ভুঁইঞা, তপন ঘোষ সহ এরিয়া কমিটির সম্পাদকরা।

গড়বেতার কমলা রাইস মিলের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়। প্রায় সাত কিমি পথ অতিক্রম করে মিছিল থানার সামনে এসে শেষ হয়। মিছিল থেকে দাবি ওঠে, পুলিশ প্রসাশনের নিরপেক্ষ ও সংবিধান মেনে কাজকর্ম করার। থানার সামনে হয় বিক্ষোভ সভা। সেই সভায় বক্তারা বাংলার মাটিতে পুলিশ প্রসাশনের একাধিক অনৈতিক পদক্ষেপ, আইনের শাসনকে উপেক্ষা করে শাসক দল তৃণমূলের হয়ে কাজ করার মতো ঘটনাগুলি তুলে ধরে পুলিশ প্রসাশনের অনৈতিক কাজকর্মের তীব্র সমালোচনা করেন।

বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির জেলা কমিটির সদস্য তপন ঘোষ ও দিবাকর ভুঁইঞা। তারা বলেন, থানার মধ্যে দুটি ব্লক মিলিয়ে ২০টি গ্রামপঞ্চায়েত রয়েছে। অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনা করা সহ আইন শৃঙ্খলা সামলানো সহ তার সঠিক তদন্ত করার পরিকাঠামো দুর্বল। তাই গড়বেতা ৩নং ব্লকের চন্দ্রকোনা রোডে একটি পূর্ণাঙ্গ থানা গড়ে তোলার দাবি জানানো হয়। পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন প্রক্রিয়া যাতে অবাধে হয় এবং তার পরিবেশ পুলিশ প্রসাশন কেই দায়িত্ব নিতে হবে। বাধা ও শাসক দলের গন্ডগোল হলে জনগণই নিজেদের মতো করে প্রতিরোধ সহ প্রতিকারের ভূমিকা নেবে। তার জন্য কোনো ঘটনা ঘটলে পুলিশ প্রসাশনই দায়ী থাকবেন।

গড়বেতার সড়ক রোড গুলিতে নিত্য দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি রুখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ সহ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করার দাবি জানানো হয়। যে কোনো ক্ষেত্রে যেকোনো অভিযোগ হলেই তদন্ত না করেই জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা এমন পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার দাবি, থানার বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ প্রসাশনের নাম করে টাকা আদায়, আবার এজেন্ট হিসাবে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় সহ শাসক দল তৃণমূলের মতো ভূমিকা পালনের ঘটনাগুলি বাঞ্ছনীয় নয় বলে সতর্ক করা হয়। সম্প্রীতি রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশের যথাযথ ভূমিকা সহ আরোও মজবুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সিভিক বা ভিলেজ কর্মীকে ব্যবহার না করা সহ এমন কর্মীদের একটা অংশ শাসক দলের কাজ করা সহ বিরোধী দলের কর্মীদের প্রতি ভয় ভীতি প্রদর্শন সহ অনৈতিক আচরণ করা থেকে বিরত করা এবং প্রয়োজনে এদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করার দাবিও জানানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *