আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ১১ সেপ্টেম্বর: পথ দেখিয়েছিল যাদবপুর। লকডাউনে অসহায় মানুষদের মুখে খাবার তুলে দিতে শ্রমজীবী ক্যান্টিন খুলেছিলো স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব। দেড়শো দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরে আজও অর্থনৈতিক দিক থেকে বিপর্যস্ত মানুষদের জন্য নামমাত্র পয়সায় খদ্যের সংস্থান হয়ে আসছে এই ক্যান্টিন। এবারে যাদবপুরের দেখানো পথেই হাঁটলো রায়গঞ্জ পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কর্মীরা।
গত ১-লা সেপ্টেম্বর থেকে সৎসঙ্গ আশ্রম সংলগ্ন পার্বতী বিশ্বাসের চায়ের দোকানে শুরু হয়েছে শ্রমজীবী ক্যান্টিন। বৃহস্পতিবার দশম দিনে পড়ল এই কর্মসূচি। প্রতিদিন মাত্র কুড়ি টাকার বিনিময়ে পর্যায়ক্রমে দুপুরে পেট ভরে ভাত, সব্জি, ডিম, মাংস তুলে দেওয়া হচ্ছে এলাকার দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে। খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে কোভিড আক্রান্তদেরও। উল্লেখ্য ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের অধিকাংশ মানুষ শ্রমজীবী। টোটো, অটো রিক্সা চালিয়ে, লোকের বাড়িতে কাজ করে কিম্বা অনুষ্ঠান বাড়িতে বাজনা বাজিয়ে দিন গুজরান করেন। কিন্তু লকডাউনের কারনে অনেকের উপার্জন নেই। আধপেটা খেয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের।
স্থানীয় সিপিএম নেতা প্রিয়রঞ্জন পাল বলেন, “সরকারের জনস্বার্থ বিরোধী নীতির কারনে গরিব মানুষদের জীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। কাজ হারিয়েছেন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়াতেই এই উদ্যোগ। পাড়াপ্রতিবেশী থেকে শুরু করে শহরের সহৃদয় মানুষরা এই ক্যান্টিন পরিচালনার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।” প্রিয়বাবু বলেন, “অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতেই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। তবে জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। আমাদের ইচ্ছে আছে অনেকদিন ধরে এই পরিষেবা দেওয়ার। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধি ভাবাচ্ছে। অনেকেই এগিয়ে এসেছেন। আরো মানুষ যদি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে এই কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।