আমাদের ভারত, হাওড়া, ১৩ সেপ্টেম্বর: সিপিএম কংগ্রেসের কর্মীরা তৃণমূলের কর্মীদের মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল সেই সিপিএম কংগ্রেস এখন তৃণমূলের অক্সিজেন। আর বিজেপি তৃণমূলের কার্বন-ডাই-অক্সাইড। যেসব সিপিএম কর্মীরা তৃণমূল কর্মীদের মারধর করেছিলেন সেইসব তৃণমূল কর্মীরা এখন তাদের ছেড়ে দিয়ে বিজেপি কর্মীদের মারছে। তবে আমরা এর শেষ দেখে ছাড়বো। রবিবার হাওড়া জেলার উদয়নারায়ণপুরে এবং শ্যামপুরে দুটি পৃথক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে এই কথা বলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন জয় বলেন, রোজ আমাদের কর্মীদের মারা হচ্ছে। কিন্তু ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসির সঙ্গে সঙ্গে একশটা স্বাধীনতা সংগ্রামী জন্ম নিয়েছিল ঠিক সেইরকম আমাদের একটা কর্মীকে মারলে হাজার হাজার কর্মী জন্ম নেবে। জয় বলেন, এখন যারা আমাদের মারছে আমরা ক্ষমতায় এলে তারা মাটির নিচেও যদি লুকিয়ে থাকে আমরা সেখান থেকে তাদের বের করে এনে শাস্তি দেব। ওদের কোনও মতেই ছাড়া হবে না। বিজেপি নেতা বলেন, সারা বিশ্বের কাছে করোনা এখন একটা অভিশাপ। ঠিক সেইরকম বাংলার মানুষের কাছে তৃণমূল এখন অভিশাপ। করোনাকে হারানোর জন্য সারা পৃথিবীর মানুষ যখন ভগবানের কাছে পুজো দিচ্ছে তখন বাংলা থেকে তৃণমূল যাতে তাড়াতাড়ি চলে যায় সেজন্য বাংলার মানুষ এখন ভগবানের কাছে পুজো দিচ্ছে।
এদিন জয় রাজ্যের পুলিশকে কটাক্ষ করে বলেন, আগে এই রাজ্যের পুলিশের সঙ্গে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের পুলিশের তুলনা করা হত। আর এখন সেই সব অতীত। পুলিশের চাকরিতে জয়েন করার সময় পুলিশদের শপথ নিতে হয় এখন সেইসব শপথ তারা ভুলে গেছে। যারা মারছে তারা রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে আর যারা মার খাচ্ছে তাদেরকে পুলিশ ধরে ধরে জেলে ঢোকাচ্ছে। এদিন তিনি প্রয়াত অভিনেতা তাপস পাল সম্পর্কে বলেন, একজন বড় মাপের অভিনেতা ছিলেন তিনি তৃণমূলের অসৎ সঙ্গে পড়ে তাকে জেলেও কাটাতে হয়েছে। এমনকি মৃত্যুর পরেও তাকে গালাগালি শুনতে হয়েছে। জয় বলেন, রাজ্যে এখন টিভির পর্দায় খবরের কাগজে চোখ রাখলেই দেখা যায় খুন ধর্ষণের ঘটনা। যেদিন বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে সেদিন মানুষ কেন একটি কুকুরের এক ফোঁটা রক্ত ঝরতে দেওয়া হবে না বলেও দাবি করেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন উদয়নারায়ণপুরের রক্তদান শিবিরে ৩৪৫ জন স্বেচ্ছায় রক্ত দান করেন। অন্যদিকে শ্যামপুরের এই সদস্যতা অভিযানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে ৫০০ জন বিজেপিতে যোগ দেয়। দলে যোগ দেওয়া কর্মীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।