সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২৩ ডিসেম্বর: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্র করে ফের জেগে উঠছে বামফ্রন্ট তথা সিপিআইএম।হারানো জমি ফিরে পেতে মরীয়া সিপিএম। আজ বড়জোড়া ও মেজিয়া শিল্পাঞ্চল সরগরম হয়ে ওঠে বামেদের মিছিল, এক বিজেপির কর্মকর্তা সহ তার অনুগামীদের সিপিএমে যোগদান নিয়ে।
এদিন সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়ন মেজিয়া শিল্পাঞ্চলের গঙ্গাজলঘাঁটি থানা কমিটির তৃতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় দুর্লভপুরে। সম্মেলন শুরুর আগে একটি মিছিল মেজিয়া বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকা পরিক্রমা করে। মিছিল দুর্লভপুর মোড়ে পৌছালে সেখানে জনবহুল এলাকাতেই একটি যোগদান মেলার আয়োজন করে ডিওয়াইএফআই। এখানে বিজেপির গঙ্গাজলঘাঁটি সদর মন্ডলের যুব মোর্চার সভাপতি সুমন্ত সিংহ তার অনুগামীদের নিয়ে সিপিআইএমের যুব সংগঠনে যোগ দেন। তার হাতে সংগঠনের পতাকা তুলে দেন সংগঠনের সভাপতি তাপস সিংহ। উপস্থিত ছিলেন খেতমজুর ইউনিয়নের বিদায়ী সম্পাদক তারাপদ খাঁ, সভাপতি ধীরেন বাউরি, কৃষকনেতা মানব মন্ডল, ভজন চট্টরাজ সহ অনেকে।
বিজেপি ছেড়েই দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সুমন্ত মন্ডল বলেন, রাজ্যে এত দুর্নীতি তবুও কেন্দ্রীয় সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে না। দীর্ঘদিন দল করতে গিয়ে দেখেছি সব সেটিং করে চলছে। অসহায় মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ঠকানো হচ্ছে। সিপিআইএম অন্তত এটা করে না।
এদিন সম্মেলন মঞ্চে শাসক বিরোধী একগুচ্ছ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে এবং তারাপদ খাঁ ও ধীরেন বাউরিকে স্বপদে বহাল রেখে ২১ জনের একটি কমিটি করা হয়েছে। সুমন্ত সিংহের দল ছাড়া প্রসঙ্গে বিজেপির গঙ্গাজলঘাঁটি মন্ডল সভাপতি ভাস্কর লাহা বলেন, ওরা সিপিআইএম ঘরেরই ছেলে। ধান্দা হবে না বুঝে সরে গেছে। এতে আমাদের কোনো ক্ষতি হবে না। এই একই দাবিতে খেতমজুর সংগঠন বিরাট জমায়েত করে মহামিছিল সংগঠিত করে বড়জোড়ায়। তারপর বিডিওর কাছে গিয়ে ডেপুটেশন দিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন নেতারা।
এখানে ছিলেন সংগঠনের ব্লক সভাপতি সাগর বাদ্যকর, প্রাক্তন বিধায়ক সুজিত চক্রবর্তী, কৃষকনেতা সুজয় চৌধুরী। তাদের দাবি, আবাস প্লাস যোজনায় যাদের পাকা বাড়ি আছে তাদের নাম বাদ দিতে হবে । প্রকৃত প্রাপকদের নাম নথিভুক্ত করে নতুন তালিকা তৈরি করে পাঠাতে হবে। পাশাপাশি কোন কোন নাম বাদ গেল এবং নতুন করে কাদের নাম যুক্ত হল সেই তালিকা বুথে বুথে মিটিং করে দেখাতে হবে। এছাড়াও ১০০ দিনের কাজ চালু করে ২০০ দিনের করতে হবে। এই প্রকল্পের বকেয়া মজুরি দেওয়ার দাবিও জানানো হয়।
এদিন সিপিআইএম- এর এই আন্দোলন প্রসঙ্গে বড়জোড়ার বিধায়ক অলক মুখার্জির কটাক্ষ, লাল ফিকে হতে হতে গেরুয়া রং ধারণ করেছিল। ফের লাল রংয়ে ডুবিয়ে উড়তে চাইছে। ওই রাম বামের খেলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনো ক্ষতি হবে না।