আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ৬ সেপ্টেম্বর: এক সপ্তাহ আগে দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলতলির সিপিএম বিধায়ক রামশঙ্কর হালদারের আপ্ত সহায়ক তথা সিপিএম কর্মী জিয়াউর হক মোল্লার উপর ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় দুষ্কৃতিরা। ঘটনায় গুরুতর জখম জিয়াউরকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল ও পরে কলকাতায় চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনার পর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনো পর্যন্ত দোষীরা কেউ গ্রেফতার হয়নি। আর সেই কারণে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে রবিবার বিকেলে জয়নগর ২ ব্লকের বকুলতলা থানার প্রিয়নাথ মোড় থেকে নিরাপদ মোড় পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার রাস্তায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করল সিপিএম। সিপিএম নেতা কান্তি গাঙ্গুলির নেতৃত্বে এই মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
গত ২৯আগস্ট ভোরে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে মাছের কাটায় যাওয়ার সময় আচমকা দুষ্কৃতিরা জিয়াউরের উপরে হামলা চালায়। ঘটনায় গুরুতর জখম হন তিনি। সিপিএমের দাবি, ১৯৯৬ সালে জিয়াউরের বাবা ইসমাইল হককে খুন করেছিল দুষ্কৃতিরা। সেই ঘটনার অন্যতম সাক্ষী জিয়াউর নিজেই। আগামী একমাসের মধ্যে সেই মামলার রায় ঘোষণা হবে। আর তার আগেই জিয়াউরকে খুনের চক্রান্ত করেছে দুষ্কৃতিরা। এর প্রতিবাদে রবিবার বিকেলে প্রতিবাদ মিছিল করে সিপিএম। কান্তি গাঙ্গুলি ছাড়াও এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক রামশঙ্কর হালদার, উদয় মণ্ডল, শ্যামলী হালদারের মতো সিপিএম নেতৃত্ব।
কান্তি গাঙ্গুলি বলেন, “পরিকল্পনা করেই খুনের চেষ্টা হয়েছিল জিয়াউরকে। ঘটনার পর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও পুলিশ দুষ্কৃতিদের গ্রেফতার করতে পারেনি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দোষীদের গ্রেফতার না করলে আমরা থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসবো।”
অন্যদিকে এদিনের মিছিলে প্রায় দু’হাজার মানুষজনকে একত্রিত করে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে সিপিএম মিছিল করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও সেই অভিযোগ পাত্তা দিতে চান নি কান্তি গাঙ্গুলি। তিনি বলেন, “ তৃণমূল দুদিন আগেই এই এলাকায় হাজার হাজার লোকজন নিয়ে মিটিং করেছে, তাঁরা কি স্বাস্থ্যবিধি মেনেছিল?”

