পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ১৩ জুন: লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলজুড়ে সবুজ ঝড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রটি বিজেপির কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করে তৃণমূল ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে। আর লোকসভা ভোট মিটতেই অন্যান্য রাজনৈতিক দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। তার ব্যতিক্রম রইল না ঝাড়গ্রামেও। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে যোগদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। রাধানগর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি বিদ্যুৎ ঘোষের নেতৃত্বে রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধানগর পূর্ব সংসদের সিপিআইএমের পঞ্চায়েত সদস্য রূপসানা বিবি সিপিআইএম ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করেন। সিপিআইএমের পঞ্চায়েত সদস্যের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দেন ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্ময়ী মারান্ডি।
যোগদান কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি দুর্গেশ মল্লদেব, ঝাড়গ্রাম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নরেন মাহাতো, রাধানগর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিদ্যুৎ ঘোষ, রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কবিতা মুদি, তৃণমূল নেতা পরিতোষ মাহাতো সহ তৃণমূলের একাধিক নেতৃত্বরা।
রুপসানা বিবি বলেন, “সিপিআইএমের হয়ে পঞ্চায়েতে জেতার পর মানুষের হয়ে কোনো কাজ করতে পারছি না। মানুষের কাজ করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলাম”।
ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্ময়ী মারান্ডি বলেন, “কেবলমাত্র সিপিআইএম নয়, এরপর দেখবেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে ছেড়ে সকলেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করবেন। কারণ তারা জানেন, জঙ্গলমহলের প্রকৃত উন্নয়ন একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস করেছে, আর আগামী দিনেও করবে”।
ঝাড়গ্রাম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নরেন মাহাতো বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে যারা ভুল বুঝে দূরে সরে গিয়েছিল তারা আজ তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে বহু নির্দল পঞ্চায়েত তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করেছে। আর লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর মানুষ আরো তৃণমূলের প্রতি আস্থাশীল হয়েছে। রাধানগর পূর্ব সংসদের সিপিআইএমের পঞ্চায়েত সদস্য আজ সিপিআইএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন”। রাধানগর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিদ্যুৎ ঘোষের নেতৃত্বে লোকসভা নির্বাচনের আগে নির্দল পঞ্চায়েতের ভিম মান্ডিকে যোগদান করায় তৃণমূল কংগ্রেসে, তারপর লোকসভা নির্বাচন মিটতেই সিপিআইএমের পঞ্চায়েত সদস্য যোগদান করলো তৃণমূল কংগ্রেসে।
এই প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ ঘোষ বলেন, “রাধানগর অঞ্চলে রাস্তা থেকে পানীয় জল, নিকাশি ব্যবস্থা সহ সমস্ত দিক থেকেই উন্নয়ন হয়েছে। তাই এই উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে সামিল হওয়ার জন্য একের পর এক নির্দল থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পঞ্চায়েতরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছে”।