আমাদের ভারত, আলিপুরদুয়ার, ১৪ জানুয়ারি: বৃহস্পতিবার কড়া নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে দিয়ে শিলিগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ারে এসে পৌছাল কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড। এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ আলিপুরদুয়ার শহরে ভ্যাকসিন সহ গাড়িটি পৌছালে সেটিকে সরাসরি বাবুপাড়ায় সিএমওএইচ এর নতুন বিল্ডিংয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই নবনির্মিত ভবনের দোতলায় ওয়াক-ইন-কুলারে রাখা হয় ভ্যাকসিনগুলো।
এদিকে ভ্যাকসিন পৌছানোর আগেই সেখানে পৌছে যান জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশ চন্দ্র বেরা সহ অনান্য আধিকারিকরা। পরে গিরিশবাবু জানান, “আলিপুরদুয়ারে মোট ১২ হাজার ৫০০টি ভ্যাকসিন এসেছে। এরমধ্যে ১৬০টি ভ্যাকসিন হাসিমারা বায়ুসেনা কর্তৃপক্ষের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়াও অনেক সময় ভ্যাকসিন দেওয়ার সময় নষ্ট হতে পারে সেজন্য ৩৪০টি ভ্যাকসিন রিজার্ভে রাখা থাকবে। বাকি ১২হাজার ভ্যাকসিন জেলার ৬হাজার স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া হবে।” জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এও জানান, “আগামী ১৬ জানুয়ারি রাজ্যস্তরে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধোধন করবার পর আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল, ফালাকাটা গ্রামীন হাসপাতাল, কামাক্ষাগুড়ি গ্রামীন হাসপাতাল এবং যশোডাঙ্গা গ্রামীন হাসপাতাল থেকে মোট ৪০০জনকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। যার মধ্যে চিকিৎসক থেকে সাফাই কর্মী, রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য সকলে রয়েছে।পরবর্তীতে আসতে আসতে এই প্রক্রিয়া চলতে থাকবে।সপ্তাহে ৪দিন করে এই ভ্যাকসিন দেবার কাজ করা হবে। তবে উপভোক্তারা ভ্যাকসিন নেবার দিন থেকে ২৮দিন পর একই ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে।”
এদিকে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের থেকে জানা গেছে, ভ্যাকসিন দেবার জন্য ৬টি ব্লক সহ জেলায় মোট ২৫টি পয়েন্ট ঠিক করা হয়েছে।সরকারি স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার সাথে যুক্ত সকলকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে পর্যায়ক্রমে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।