রাজেন রায়, কলকাতা, ১১ নভেম্বর: কিছুদিন আগে হাইকোট পরিষ্কার জানিয়ে ছিল, কালীপুজো থেকে আরম্ভ করে ছট পুজো পর্যন্ত সমস্ত পূজার বাজি বিক্রি এবং ফাটানো নিষিদ্ধ। তারপরেও খোলাবাজারে রমরমা করে বিক্রি হচ্ছে বাজি। শুধু তাই নয়, তার ছবি প্রকাশিত হচ্ছে সংবাদমাধ্যমেও। আর তার জেরেই এবার বাজি নিয়ে মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে রাজ্য সরকার। রাজ্য প্রশাসনকে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
এদিন মামলার শুনানিতে রাজের কাছে ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চায়, হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে এখনও বাজারে বাজি পাওয়া যাচ্ছে। আদালতের নির্দেশের পরেও বাজির রমরমা কিভাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি। এ বিষয়ে ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, আদালত নির্দেশ দিতে পারে। কিন্তু সেই নির্দেশকে পালন করার দায়িত্ব পুলিশ প্রশাসনের। এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরেই প্রশাসনের উচিত ছিল পুলিশের একটি বিশেষ টিম দিয়ে নজরদারি চালানো। কিন্তু সে দায়িত্ব পালন করেনি পুলিশ প্রশাসন।
এছাড়াও ডিভিশন বেঞ্চ বাজি সংক্রান্ত বিষয়ে সাধারণ মানুষের অভিযোগ জানানোর জন্য ১২ নভেম্বরের মধ্যে একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যকে। কলকাতা পুরসভা এবং রাজ্যের অন্যান্য পুরসভা এলাকায় পুর প্রতিনিধিদের পাড়ায় পাড়ায় প্রচার চালানোর নির্দেশও দিয়েছে আদালত। এদিন মামলার শুনানিতে রাজ্যের আবেদন, আদালত এ বিষয়ে রাজ্য প্রশাসনের উপর ভরসা রাখুক, রাজ্য প্রশাসন এনিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। তার প্রেক্ষিতে ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, বাজি সংক্রান্ত হাইকোর্টের নির্দেশের অন্যথা হলে সংশ্লিষ্ট ডিএম, এসপি, সিপি দায়ী থাকবেন।