আমাদের ভারত,১১ মার্চ:টার্গেট কংগ্রেস মুক্ত ভারত গঠন। এক এক করে বিজেপি সেই দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। মধ্যপ্রদেশ সেই টার্গেটের অংশ বলে ধারণা তাদের। বিজেপির পরবর্তী লক্ষ্য মহারাষ্ট্র ও রাজস্থান। কংগ্রেসের ভিতরের অন্তর্দ্বন্দ্বকে কাজে লাগানো ও নেতৃত্ব সংকটে ফেলে ক্ষমতা দখল। এককথায় কংগ্রেসকে দুর্বল থেকে দুর্বলতর করে দেওয়াই বিজেপির অন্যতম লক্ষ্য বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
কর্নাটকের মত চেনা ছকেই মধ্যপ্রদেশ দখল করতে চলেছে বিজেপি। তবে গত দুমাস ধরে শাহের অত্যন্ত সুচারু পরিকল্পনা কাজ করেছে এর পেছনে বলে সুত্রের খবর। এমনকি শাহের এই পরিকল্পনার খবর নাকি মধ্যপ্রদেশের রাজ্য নেতৃত্বের কাছেও ছিল না।
রাজনৈতিক মহল বলেছে কংগ্রেসের ভাঙন সবে শুরু। জ্যোতিরাদিত্যর পেছনে পেছনে অনেকেই এই লাইনে রয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছেন রাজস্থানের শচীন পাইলট বলেও গুঞ্জন। তাই তো আর দেরি না করে তড়িঘড়ি শচীনকে কংগ্রেস হাইকমান্ড ডেকে নিয়েছেন দিল্লিতে।
মধ্যপ্রদেশ হাতছাড়া প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। তাই বিজেপির এবার টার্গেট রাজস্থান ও মহারাষ্ট্র। মহারাষ্ট্রের জোট সরকারের মধ্যে ইতিমধ্যেই বিরোধ শুরু হয়ে গেছে। স্থানীয় এক বিজেপি নেতা সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে ঘোষণা করে দিয়েছেন এনসিপি কংগ্রেস সরে গেলে ঠাকরে সরকারকে সমর্থন করবে বিজেপি।
একই সঙ্গে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশের মতো মহারাষ্ট্রে ও রাজস্থানেও একই চাল দিতে পারে বিজেপি। আর তাতে যদি বিজেপি সক্ষম হয় তাহলে কেল্লাফতে।
নবীন প্রজন্মের নেতাদের ভাঙিয়ে এনে কংগ্রেসকে নেতৃত্ব সংকটেও ফেলতে চাইছে বিজেপি। জ্যোতিরাদিত্যকে দলে টানাও এই সুচারু রাজনৈতিক প্রহারের অন্যতম ফসল বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
২০১৪-তে মোদী ডাক দিয়েছিলেন কংগ্রেস মুক্ত ভারত গড়ার। মধ্যপ্রদেশের পর যদি মহারাষ্ট্র রাজস্থানের ক্ষমতা ফের নিজের হাতে ফিরিয়ে আনতে পারে বিজেপি তাহলেই ষোলোকলা পূর্ণ। কারণ কর্নাটকের পর মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্রেই কংগ্রেসের ক্ষমতা সীমাবদ্ধ থেকে গেছে। দিল্লিতে ধুয়ে মুছে সাফ। ছত্তিশগড় ছাড়া অন্য কোথাও তাদের অস্তিত্ব নেই। সারা দেশে কংগ্রেসকে অস্তিত্ব সংকটের মধ্যে এনে দাঁড় করিয়ে দিতে চলেছে বিজেপি। নবীন ও প্রবীণের দ্বন্দে নাজেহাল কংগ্রেসকে সহজেই দুমড়ে দিতে সক্ষম হচ্ছে শাহের সুপরিকল্পিত চাল। আর বাস্তবায়িত হচ্ছে মোদীর কংগ্রেস মুক্ত ভারত গড়ার স্বপ্ন।